পুরো বিশ্ব কাঁপাচ্ছে মরণব্যাধি অদৃশ্য করোনা নামক ভাইরাস। ২০১৯ সালে উৎপন্ন হওয়ায় ভাইরাসটি নাম দেয়া হয় কোভিড-১৯। চীনের উহান শহরে থেকে পলিপিল করে তামাম দুনিয়ায় মহামারিতে রূপ নিয়েছে নোভেল করোনা। এখনো করোনা থেকে রেহাই পেতে আবিষ্কৃত হয়নি কোনো টিকা। এই অবস্থায় বেশ কিছু শব্দ সংযোজন হয়েছে করোনা রোধে। বিকল্প দাওয়া হিসেবে বেঁচে নেয়া হয়েছে ‘লকোআইশা’। ‘লকোআইশা’ শব্দটি ভাঙ্গালে পাওয়া যায়- লকডাউন, কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেন এবং শারীরিক দূরত্ব। যদিও প্রথমে ‘শারীরিক দূরত্ব’ না বলে ‘সামাজিক দূরত্ব’ শব্দটি চাউর করা হয়েছিল। তবে এখন অনেক মহল থেকেই ‘সামাজিক দূরত্বের পরিবর্তে ‘শারীরিক দূরত্ব’ শব্দটি ব্যবহার করতে বলা হচ্ছে। ‘করোনা বধে সামাজিক নয়, ‘শারীরিক দূরত্ব’ শিরোনামে ইতোমধ্যে একটি নিবন্ধ লিখে অনেক সহকর্মীদের ঝাকুনি-বকুনিও কম খাইনি। কেউ কেউ তিরস্কারে বলতে চেয়েছেন আমি নাকি বিজ্ঞানীদের দেয়া ‘সামাজিক দূরত্ব’ থিওরির বিরোধীতা করছি! তবে সুদূর যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত শুভাকাঙ্খি শ্রেদ্বেয় নিয়ামূল মুলক, ইত্তেফাকের সাবেক সাংবাদিক ব্যাংকার ফারুক আহম্মেদ, ভোরের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার সাজ্জাদ হোসাইন, বয়জেষ্ঠ্য সহকর্মী ডেইলি বাংলাদেশের সাংবাদিক আব্দুস সামাদ, আমাদের নতুন সময়ের খাদেমুল বাবুল, আলোকিত বাংলাদেশের শফিকুর রহমান শিবলী সাহেবসহ অনেকেই নিবন্ধটি পড়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছিলেন। আব্দুস সামাদ ভাই টেলিভিশন টক-শোতে সামাজিক দূরত্বের পরিবর্তে ‘শারীরিক দূরত্ব’ শব্দটি সংযোজনের আলোকপাত করায় বিষয়টি স্বাচ্ছন্দে গভীর রাতে অবহিত করে তাঁর নিকট আমাকে ঋণী বানিয়েছেন। আশার কথা হচ্ছে, নিবন্ধটি প্রায় ডজনখানেক গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় মনে হয় কোনো মহলে নজর কাড়ছে। পত্র-পত্রিকাসহ টেলিভিশন টক-শোতে এখন ‘শারীরিক দূরত্ব’ শব্দটির পক্ষে তুমুল সাই পাওয়া যাচ্ছে। মূলত বিষয়টি ‘সামাজিক’ নয়, বরং শারীরিক দূরত্বই বটে।
করোনা রোধে বেশ কিছু শব্দ মানুষের মুখে ঘুরপাক খাচ্ছে। কিন্তু এসব শব্দের মানে আসলে কী? বা কীভাবে এসব শব্দ এলো? চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব আদিঅন্ত :
শারীরিক দূরত্ব : বডি ডিসট্যান্সিং বা শারীরিক দূরত্ব। এর মানে হলো, আপনি অকারণে বাইরে যাবেন না। ঘরে থাকবেন। কোনো জরুরি প্রয়োজনে যেমন খাবার-দাবার বা ওষুধ কিনতে বাইরে যেতে পারেন। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ভিড়ে যাবেন না, গণপরিবহনে পারতপক্ষে উঠবেন না, ভ্রমণ করবেন না, সিনেমা থিয়েটার প্রার্থনাগৃহে যাবেন না। অন্যের সঙ্গে ছয় ফুট দূরত্ব বজায় রাখবেন। এ মুহূর্তে আমাদের সবার শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা উচিত। এক্ষেত্রে কে সুস্থ্য না অসুস্থ্য তাতে কিছু যায় আসে না।
ইতিহাস স্বাক্ষ্য দেয়, মহামারি রোধে শারীরিক দূরত্বের নিদানটি প্রাচীন। ১৯১৬ সালে যখন নিউ ইয়র্কে পোলিয়ো মহামারিতে যাবতীয় জনসমাবেশ ও বৈঠক স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। পোলিয়ো হতে বাঁচতে সবাইকে স্বগৃহে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। ১৯১৮ সালে ইনফ্লুয়েঞ্জা অতিমারি ও ২০০৩ সালে সার্স-ও এভাবেই রোধের প্রচেষ্টা দেখা যায়। মেলামেশা বন্ধ হলে অসুস্থ্যের সংখ্যাবৃদ্ধির হারটিও হ্রাস পাবার সম্ভাবনা থাকে।
বলা যায়, করোনা সংকট থেকে উত্তরণের জন্য শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার কোনো বিকল্প নেই। পথে-ঘাটে, দোকান-পাটে, বিদ্যালয়-পাঠাগারে অর্থাৎ সামাজিক মেলামেশার প্রতিটি স্থানেই একটি মানুষের সঙ্গে আরেকটি মানুষের ন্যূনতম শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা বড় প্রয়োজন। এটি নিশ্চিত করার ব্যাপারে রাষ্ট্রের যেমন একটি বিরাট সামষ্টিক ভূমিকা আছে, তেমনি ব্যক্তিমানুষেরও। রাষ্ট্র মানুষকে নৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত করতে পারে, প্রয়োজনে আইন প্রণয়ন করতে পারে এবং আইন প্রয়োগও করতে পারে। কিন্তু রাষ্ট্রের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাবে, যদি ব্যক্তিমানুষ দায়িত্বশীল না হয়।
লকডাউন : লকডাউন বলতে বোঝায় বদ্ধাবস্থা। এটা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নয়। এটা প্রশাসনিক বা সরকারি ব্যবস্থা। এতে বিমান বন্ধ, সীমানা বন্ধ, চলাচল বন্ধ। রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। এটা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত, নাগরিকের স্বতঃপ্রণোদিত সিদ্ধান্ত নয়। কর্তৃপক্ষ যা বলবে, তা শুনতে হবে। এখন দরকার সবারই শারীরিক দূরত্ব বা বডি ডিসট্যান্সিং বজায় রাখা।
‘লকডাউন’ শব্দটি বিশেষ করে আমাদের দেশে তেমন আলোচনায় না থাকলেও ‘লকডাউন’ শিরোনামে বই লিখে গালি খেয়েছিলেন প্রখ্যাত লেখক পিটার মে। আজগুবি বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন প্রকাশক। বলেছিলেন, কল্পনা নিয়ে বই হয়। কিন্তু লকডাউন এতোটাই অবাস্তব মানুষ বই পড়ে প্রকাশকের চৌদ্দ গোষ্ঠী উদ্ধার করবে। প্রকাশনা সম্পাদক বইটি বাতিল করে দেন। বলেন, অবাস্তব চিন্তা নিয়ে বিভোর থাকার সময় নেই আমাদের। ১৫ বছর আগের কথা। ২০০৫ সালে বইটি লিখেছিলেন বিলাতি লেখক পিটার মে। বিশ্বে কী ঘটতে যাচ্ছে বা ঘটবে তার একটি ছবিও একেছিলেন বইটিতে।
মহামারি হবে বিশ্বময়, এটাই ছিল বইটির সারকথা। এই মহামারির নাম অবশ্য তিনি দেননি। করোনা ভাইরাসে যখন বিশ্ব কাঁপছে তখনই খোঁজ পড়লো পিটার মে’র। বলা হলো, বইটি কোথায়। আমরা এখন ছাপার কথা চিন্তা করতে পারি। একজন সম্পাদক সারা রাত ধরে বইটি পড়লেন। মত দিলেন, আর দেরি না করে এখনই প্রেসে দেয়া যেতে পারে। তাই হলো, আগামী ৩০ শে এপ্রিল বইটি বাজারে আসবে। মিলিয়ন কপি ইতিমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। ৬৮ বছর বয়স্ক পিটার মে বলছেন, এটা তার সম্পূর্ণ কল্পনাপ্রসূত ছিল না। বৃটেন ও আমেরিকার মহামারি বিশেষজ্ঞদের নানা গবেষণাপত্র দেখেই বইটি লিখেছিলেন। তার কথা, বইটির নাম ছিল লকডাউন। তবে তামাম দুনিয়া এভাবে লকডাউনে চলে যাবে এটা ভাবিনি। (তথ্যসূত্র : মানবজমিন- ০৯.০৪.২০২০)
আইসোলেশন : আইসোলেশন অর্থ বিচ্ছিন্ন থাকা। যাঁরা দেশের বাইরে থেকে এসেছেন বা সম্ভাব্য রোগীদের সংস্পর্শে এসেছেন বা নিশ্চিতভাবে করোনায় আক্রান্ত মানুষের সঙ্গে মিশেছেন, তাঁরা নিজেদের নিজের ঘরে আলাদা রাখবেন। তাঁরা কাউকে স্পর্শ করবেন না। নিজেদের স্বাস্থ্য নিজেরা পর্যবেক্ষণ করবেন। জ্বর মাপবেন। গলায় ব্যথা হচ্ছে কি না দেখবেন।
যাঁরা জ্বর অনুভব করছেন, গলায় ব্যথা অনুভব করছেন, শ্বাসকষ্টে ভুগছেন, তাঁরাও আইসোলেশনে থাকবেন। মানে বিচ্ছিন্ন থাকবেন। তাঁদের সবার করোনাভাইরাস পরীক্ষার দরকার নেই। যতক্ষণ না আপনার বয়স ৬০ বছরের বেশি হয় বা রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা দুর্বল হয়, ততক্ষণ পরীক্ষা লাগবে না। ডাক্তারের সঙ্গে ফোনে কথা বলবেন।
আপনি যদি একা থাকেন, সাত দিন নিজেকে মনিটর করুন। যদি পরিবারের সঙ্গে থাকেন, ১৪ দিন সবাইকে বিচ্ছিন্ন থাকতে হবে। পরিস্থিতি বুঝে ১৪ দিন পর চলাচল করতে পারবেন বা পারবেন না। ধরা যাক, আপনার বাসায় একজন ফ্লুর লক্ষণে ভুগছে। এ জন্য আপনার পরিবার বিচ্ছিন্নতা বা আইসোলেশনে গেল। ষষ্ঠ দিনে আপনার সর্দি শুরু হলো। আপনাকে আরও সাত দিন বিচ্ছিন্ন থাকতে হবে। এর মধ্যে পরিবারের আরেকজন ১৩ নম্বর দিনে ভুগতে শুরু করল, তাহলে তাকে ২০ দিন থাকতে হবে আইসোলেশনে।
কোয়ারেন্টিন : কোয়ারেন্টিন বলতে সংগনিরোধ। এটা তাঁদের জন্য, যাঁরা করোনা ভাইরাস টেস্টে পজিটিভ বলে পরীক্ষিত হয়েছেন বা টেস্ট করতে দিয়ে রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছেন। তাঁরা ঘরে থাকবেন। তাঁদের সংস্পর্শে কেউ যাবে না। হাসপাতালে যেতে হলে আগে থেকে জানিয়ে যেতে হবে। প্রয়োজনীয় সতর্কতা এবং বিধি মেনে নিয়ে যেতে হবে।
তবে ধরা যাক, আপনি একটা প্রতিষ্ঠােন ছিলেন, যে প্রতিষ্ঠানটি করোনা ভাইরাস আক্রান্ত বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সে ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ আপনাকে কোয়ারেন্টিনে রাখতে পারে। যেমন চীনের উহান শহর থেকে আসা মানুষদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল। এছাড়া বাংলাদেশে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের ৪৭ জন সাংবাদিককেও কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
‘কোয়ারানটাইন’ শব্দটি করোনা রোধে বর্তমানে নতুনভাবে আলোচনায় আসলেও এটির সঙ্গে আমরা একেবারে যে অপরিচিত তা কিন্তু নয়। ‘কোয়ারানটাইন’ ধারণা চালু করেছিলেন প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ইবনে সিনা।
ইরানে জন্মগ্রহণকারী ইবনে সিনা ছিলেন মুসলিম দুনিয়া তথা বিশ্বের একজন অগ্রণী বিজ্ঞানী, গবেষক ও দার্শনিক। তাঁর পুরো নাম আবু আলী আল হুসেইন ইবনে আবদুল্লাহ্ ইবন-সিনা। পাশ্চাত্যে তিনি পরিচিত আভিসিন্নাহ নামে। তাঁর ছিল বিভিন্ন বিষয়ে বিরল প্রতিভা। এককথায় ‘পলিম্যাথ’ বা বহুবিদ্যাধর। ইবনে সিনা ছিলেন একাধারে চিকিৎসাবিজ্ঞানী, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, দার্শনিক। বিভিন্ন বিষয়ে তিনি ৪৫০টি গবেষণা গ্রন্থ লিখেছিলেন। তার মধ্যে এখনও ২৪০টি গ্রন্থ পাওয়া যায়।
ইবনে সিনাকে দুনিয়ার আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনকও বলা হয়। তাঁর সময়কাল ছিল ৯৮০-১০৩৭ খ্রিস্টাব্দ। চিকিৎসাবিজ্ঞানে তাঁর লেখা ৪০টি কিতাব রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে খ্যাত হল ‘দ্য বুক অফ হিলিং’ (আরোগ্য পুস্তক) ও ‘দ্য ক্যানন অফ মেডিসিন’ (চিকিৎসাশাস্ত্র)।
ইবনে সিনা ধারণা করেছিলেন, কিছু রোগ নিশ্চিতভাবে মাইক্রোঅর্গানিজম দ্বারাই ছড়ায়। তাই মানুষ থেকে মানুষে রোগ সংক্রমণ প্রতিহত করতে তিনি যে ব্যবস্থাপত্রের কথা বলেছিলেন তা হচ্ছে, সংক্রমিত বা সন্দেহযুক্ত ব্যক্তিকে ৪০ দিন ধরে একেবারে আলাদা করে আইসোলেশনে অর্থাৎ নির্জনে রাখতে হবে। আর এর দ্বারাই সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। তাঁর এই ব্যবস্থাপত্রকে আরবিতে বলা হয়, ‘আল আরবা ইনিয়া’ (অর্থাৎ ৪০ দিন)।
ভেনিসের ব্যবসায়ীরা রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধের এই সফল পদ্ধতির কথা শুনেছিলেন এবং তারা অর্জিত এই জ্ঞানকে বর্তমানের ইতালি ভূ-খ-ে নিয়ে যান। তারা আরবি থেকে অনুবাদ করে ইতালিতে এই পদ্ধতিটির নামকরণ করেন ‘কোয়ারানটেনা’ (অর্থাৎ ইতালি ভাষায় ৪০ দিন)। আর এ থেকেই ইংরেজি ‘কোয়ারানটাইন’ শব্দটির উদ্ভব। (তথ্যসূত্র : নয়া দিগন্ত- ০৮.০৪.২০২০)
আধুনিক পৃথিবীতে এই যে প্রণালীটি ‘বৈশ্বিক-মহামারি’ রুখতে ব্যবহার করা হচ্ছে, তার শিকড় রয়েছে ইসলামি দুনিয়ায়। এ ছাড়া মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা. তাঁর জীবিতকালেই নির্দেশ দিয়ে গেছিলেন যে, ‘যদি কেউ কোনো মহামারি আক্রান্ত এলাকায় অবস্থান করে, তবে মহামারি চলাকালীন তার ওই স্থান ত্যাগ করে অন্যত্র আসা উচিত নয়। অন্যদিকে, মহামারি আক্রান্ত নয়, এমন স্থান থেকে কোনো সুস্থ্য ব্যক্তির মহামারিগ্রস্ত এলাকায় যাওয়া সমীচীন নয়।’
পবিত্র কুরআনে উল্খ্যে, ‘যদি কেউ কোনো মানুষের জীবন রক্ষা করে, তাহলে তা সমগ্র মানবতাকে রক্ষা করার সমান।’ আজকের দিনেও ইবনে সিনার পদ্ধতিটি লাখ লাখ মানুষের জীবন রক্ষায় ভূমিকা রাখছে।
করোনাঘাতে ইতোমধ্যে ফিকে হয়েছে পারমাণবিক অস্ত্রের বাহাদুরি, সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে বিজ্ঞান, স্তমিত হয়েছে সভ্যতার আস্ফালন, পরাজিত হয়েছে ক্ষমতার দম্ভ, রুদ্ধ হয়েছে মুক্তির সকল পথ; তার মানে সকল কারামতি শেষ হয়েছে আকাশের নিচের বাসিন্দাদের। একমাত্র আকাশে উপরের অধিপতির নিকট প্রার্থনা আমরা অধম, তোমার ইশারায় সব হয়। হে রহিম-রহমান তুমি রক্ষা করো, রক্ষা করো দুনিয়াবাসীকে।
(লেখক : এম. কে. দোলন বিশ্বাস, দৈনিক সংবাদের সাবেক সহ-সম্পাদক)