মহাদূর্যোগ করোনা ভাইরাস মোকাববেলায় কসবায় ২৩ হাজার ৮শত ৫৭ জন মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে আগামী দু’দিনের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়েরে এই ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শেষ হবে। তবে দ্বিতীয় পর্যায়ে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চালানোর জন্য সরকার দলীয় নেতা কর্মী ত্রাণ তহবিলে স্বত:প্রণোদিতভাবে খাদ্য সামগ্রী জমা দিচ্ছেন।
কসবা-আখাউড়ার সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রীর নির্দেশে উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভুইয়া জীবন সার্বক্ষণিক ত্রাণ কার্যক্রম মনিটরিং করছেন। কসবা পৌরসভায় ইতোমধ্যে-২৫০ জনের মধ্যে ২.৫০ মেট্রিকটন চাউল বিতরণ করা হয়েছে। অপরদিকে পৌর এলাকায় আরো ৪ মেট্রিকটন চাউল ৪০০জনের মধ্যে, নগদ ৭৫ হাজার টাকা ২৫০ জন এবং ১৫ হাজার টাকার শিশু খাদ্য দরিদ্র প্রসূতিদের দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুলেল এ প্রতিবেদককে জানান। পৌর এলাকার শাহপুর গ্রামে ব্যক্তিগত ভাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এম.জি হাক্কানী ১০০ পরিবার ও অপর যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী আজহারুল ইসলাম শাহপুর ও কসবা পশ্চিম ইউনিয়নে ১৫০০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
এ ছাড়া উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যাবস্থাপনা কমিটি এবং দলীয় নেতাকর্মীরা ২২ হাজার ৯ শত ৫৭ জন মানুষকে গড়ে ৭০০ টাকার ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। ত্রাণ সমগ্রীর মধ্যে ছিলো, ১০ কেজি চাউল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি তেল, ২ কেজি আলু, ২ কেজি পিয়াজ, ১টি সাবান ইত্যাদি।
উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভুইয়া জীবন প্রতিটি ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের সাথে উপস্থিত থেকে এ ত্রাণ বিতরণ করছেন। এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘোষণা দিয়েছেন যারা কষ্টে আছেন, ঘরে খাদ্য নেই ওই সকল পরিবারগুলো যত দূরেই হোক না কেন তাঁকে বা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলে তিনি ত্রাণ পৌঁছে দেবেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নিকটও যারা ফোন করে তাদের খাদ্য সমস্যার কথা বলছেন দলীয় নেতাকর্মী অথবা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে খাদ্য জরুরী ভিত্তিতে পৌঁছে দিচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন চেয়ারম্যানগণ যথাক্রমে বায়েক ইউনিয়নে ২৪৬০ জন, কুটি ইউনিয়নে ৩৮০০ জন, বাদৈর ২৩০০ জন, মেহারী ১৫০০ জন, কসবা পশ্চিম ৯০০ জন, গোপীনাথপুর ২৫০০জন, কায়েমপুর ২৩১০ জন, বিনাউটি ২৩৪৫ জন, খাড়েরা ২৫৪২ জন, মূলগ্রাম ২৩০০ জনের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত আছে।