বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি মাজেদের কবর সোনারগাঁ থেকে অপসারণের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সদস্য এ এইচ এম মাসুদ দুলাল। রোববার দুপুরে সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য পাঠ করেন তিনি। এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সোনারগাঁ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, সিঙ্গাপুর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন জয় উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মাসুদ দুলাল বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীর লাশের কবর সোনারগাঁয়ে থাকতে দেওয়া হবে না। এ লাশ সোনারগাঁয়ে রাতে আঁধারে কবর দেওয়ায় সোনারগাঁবাসী লজ্জীত এবং স্তম্ভিত। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীর লাশ তার গ্রামের মানুষ গ্রহন করেনি, আমরা কেন এ কলঙ্কের দায় নেবো। মাজেদের লাশ সোনারগাঁ থেকে প্রত্যাহার চাই।
তিনি বলেন, প্রশাসনের কাছে আমরা তার লাশ প্রতাহার বা অন্যত্র সরিয়ে নিতে কথা বলেছি। আমরা প্রশাসনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এ লাশ প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সোনারগাঁ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম বলেন, আমরা যদি আগে জানতাম, সোনারগাঁয়ে খুনি মাজেদের লাশ আসবে তা হলে আমরা শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও প্রতিহত করতাম।
তিনি বলেন, যে কুলাঙ্গারের জন্ম ভোলায়। ভোলাবাসী তার দায় বহন করতে চায় না, তাহলে আমরা সোনারগাঁবাসী কেন এর দায় নেব। সোনারগাঁ থেকে তার লাশ উত্তোলন করা না হলে আমরা আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে এ লাশ অপসারণ করে নদীতে ভাসিয়ে দেবো।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি (বরখাস্ত) ক্যাপ্টেন মাজেদের ফাঁসি শনিবার দিবাগত রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে কার্যকর হয়। মৃত্যুদন্ডের পর মাজেদের লাশ পরিবারের কাছে হস্থান্তর শেষে সোনারগাঁয়ের শম্ভুপুরা ইউনিয়নের হোসেনপুর উপ-স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে পাশে তার শশুর হাজী শামসুদ্দিন সরকারের পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।