আজ সারাবিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করেছে করোনা ভাইরাস। বাংলাদেশেও হানা দিয়েছে ভাইরাসটি। এর বিস্তার রোধে সারা দেশে সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে সরকারি ও বেসরকারি অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠা, গণপরিবহন চলাচল। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে লাখ লাখ শ্রমজীবী। কাজ না পেয়ে তাদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। অসহায় এ মানুষগুলোর ক্ষুধা নিবারণে সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে খাদ্য সহায়তা। ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে ত্রাণ সহায়তা। অথচ অনেক উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা অসহায়, হতদরিদ্র মানুষের ত্রাণ আত্মসাৎ করছে। চাল চুরি করে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীর কাছে গরিবের এ খাবার বিক্রি করে দিচ্ছে। কিছু গণমাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে। যার কল্যাণে প্রশাসন এই নির্লজ্জ জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নিয়েছে।
সবাই যখন করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত হয়ে নিরাপদ আশ্রয় খুঁজতে ব্যস্ত, যেখানে আতঙ্কিত দেশের সব মানুষ। ঠিক সেই সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিজের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকলেও ভয়কে জয় করে প্রতিনিয়ত কাজ করছেন।
তিনি হলেন- পূর্বধলা উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন। তিনি নিজ উদ্যেগে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে গৃহবন্দী এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষদের সহায়তা করে যাচ্ছেন।
তিনি ১১ এপ্রিল থেকে স্থানীয় সাংবাদিকদের সহায়তায় প্রতিটি ইউনিয়নে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থবিধি বিষয়ক সচেতনতামূলক প্রচারণা মাইকিং করে গ্রামে গ্রামে অলি-গলিতে সচেতন পৌছেদিচ্ছেন।
গত শুক্রবার দুপুরে আরবান সম্মেলন কক্ষে করোন ভাইরাস প্রতিরোধ ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে সাংবাদিকদের সাথে ২য় দফা মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন। মতবিনিময় সভার তিনি বলেন, প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারণে কর্মহীন, অসহায়, শ্রমজীবী, দিনমজুর ও অসচ্ছল পরিবারের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে চেষ্টা করছি। আমি আমার উপজেলার সকল চেয়ারম্যানদের ত্রান বিতরণে কোন ধরনের অনিয়ম না করার জন্য অনুরোধ করছি।
তিনি আরো বলেন, সবাইকে ঘরে থাকছে বলছি। আমরা নিজেরা যদি নিজ নিজ জায়গা থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সতর্ক না হই, তাহলে আমাদের সর্বনাশ আমরাই ডেকে আনব তাই আসুন আমরা ঘরের বাইরে বের না হয়ে একটু কষ্ট হলেও তা মেনে নিয়ে নিজ নিজ জায়গা থেকে সতর্কতা অবলম্বন করে আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করি। আমি প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকায় দিন-রাত ঘুরছি আর কর্মহীন মানুষদের খুঁজে খুঁজে বের করে খাবারসামগ্রী হাতে তুলে দিচ্ছি। যতদিন এই সংকট শিথিল না হচ্ছে ততদিন আমি ঘরে ঘরে গিয়ে প্রয়োজনীয় খাবারসামগ্রী পৌঁছে দিয়ে আসব ইনশিআল্লাহ। শুধুমাত্র দয়া করে আপনারা কেউ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হবেন না এবং কোন মোড়ে কিংবা বাজারে অযথা জটলা পাকাবেন না।
সমস্ত রাজনৈতিক দল-গণসংগঠন-ক্লাব -সমিতি-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সকলের নিকট বিনীত আহব্বান আসুন আমরা এই কাঁদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করি। মহামারী বিপদাপন্ন মানুষকে রক্ষায় এগিয়ে আসুন। এই মরণঘাতক ভাইরাসের হাত থেকে আমি নিজে বাঁচি অন্যকেও বাঁচতে সহায়তা ও সতর্ক করি।