নিয়ামতপুরে বিরোধীয় সম্পত্তিতে বাঁশ কাটাকে কেন্দ্র করে এক সংঘর্ষে দুই নারীসহ তিন জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের এ ঘটনাটি ঘটে শনিবার বিকালে উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের আঘোর গ্রামে। আহতরা হলেন মৃত প্রদীপের ছেলে রমি (২৯). রমির স্ত্রী তুলসী (২৮) ও রমির মা শেফালী (৪৫)।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, আঘোর পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত- প্রদীপের ছেলে রমি সন্যাসি পৈত্রিক সূত্রে বাঁশ গাছসহ বিরোধীয় সম্পত্তির মালিক। দীর্ঘদিন যাবত ওই সম্পত্তিটি সে ভোগ দখল করে আসছে। কিন্তু রমি সন্যাসির চাচা একই গ্রামের মৃত- নারায়নের ছেলে নিরাঞ্জনও সম্পত্তির মালিকানা দাবী করে মাঝে মাঝেই বিরোধ সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে ওই সম্পত্তি নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিরা একাধিকবার সালিশ করেন। ঘটনার দিন শনিবার বিকালে নিরাঞ্জন ওই সম্পত্তিতে লোকজন নিয়ে বাঁশ কাটা শুরু করলে রমি বাধা দেয়। এতে নিরাঞ্জন (৬০), স্ত্রী মুক্তি (৫০) ও তার ছেলে রনি (২৬) কাটা বাঁশ দিয়েই রমিকে মারতে শুরু করে। এতে রমির আর্ত চিৎকারে স্ত্রী তুলসী ও তার মা শ্রীমতি সেফালী ছুটে আসলে তাদেরকেও বাঁশ দ্বারা এলোপাতাড়ী আঘাত করতে শুরু করেন তারা। এতে রমি, তার স্ত্রী ও মা শেফালী মারাত্মকভাবে জখম হন। তাদের চিৎকারে গ্রামবাসী ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় সম্পত্তির মালিকানা দাবীকারী রমি সন্যাসি জানান, আমার দাদার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। পৈত্রিক সূত্রে সম্পত্তিটি আমার বাবা পায়। আমার বাবার ওয়ারিশ সূত্রে আমি প্রাপ্ত হই। কিন্তু আমার চাচা নিরাঞ্জন তা না মেনে বার বার সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করে। ইতোপূর্বে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিরা একাধিকবার সালিশও হয়েছে। সর্বশেষ এক বছর পূর্বে সম্পত্তিটি দখলের চেষ্ট করলে আমরা তাতে বাধা প্রদান করায় তারা আমাদেরকে বেধড়ক মারপিট করে আহত করে হাসপাতালে পাঠালে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে সালিশ বসে। সেই সালিশে ওই সম্পত্তি আমাকে দখল করে দেন।
ওসি হুমায়ন কবিরের সাথে এ ঘটনায় যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কত লোকই তো এমন অভিযোগ নিয়ে থানায় আসে। এমন মারামারির বিষয়টি মনে নেই তার।