করোনা ভাইরাস ঝুঁকিতে দায়িত্ব পালন করছেন ইউনিয়ন পরিষদের তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি, সচিব, গ্রাম পুলিশ। ইতিমধ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা করোনায় ঝুঁকি নিয়ে যারা কাজ করবেন তাদের পুরষ্কৃত করাসহ স্বাস্থ্যবীমা প্রদানের ঘোষনা দিয়েছেন। এমতাবস্থায় ইউনিয়ন পরিষদ সচিব, জনপ্রতিনিধি, গ্রামপুলিশদের এর আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে।
জানা যায়, সারা দেশে সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদ সচিব, জনপ্রতিনিধি, গ্রাম পুলিশের পাশাপাশি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ এই দূর্যোগ কালীন মুহুর্তে ঝুঁকি নিয়ে দুঃস্থ, অসহায়, দিনমজুর ও উপকার ভোগীদের তালিকা করে মন্ত্রনালয়, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনসহ সকল প্রকার দাপ্তরিক কার্য রির্পোট রির্টান প্রেরণ, জরুরী ত্রাণ কার্যক্রম, ভিজিএফ, ভিজিডি, জিআর, জেলেদের বিশেষ ভিজিএফ চাল উত্তোলন, গুদামজাতকরণ, ইউনিয়ন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটি, প্রবাসীদের তালিকা, হোম কোয়ারান্টাইন নিশ্চিত করা, মাইকিং, জনগনকে সচেতন করাসহ সকল কাজ সুষ্ঠভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
বাউসা ইউনিয়নের সচিব রফি আহমদ জানান, আমরা এই করোনা ভাইরাসের মধ্যে নিত্যদিন অফিস করে জনগনের দ্বারে দ্বারে সেবা প্রদান করে যাচ্ছি। স্থানীয় সরকার ( ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ৮ ধারা মোতাবেক ইউনিয়নকে প্রশাসনিক একাংশ ঘোষনা করা হয়েছে এবং প্রশাসনে সকল কাজ সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। অন্যান্যের মতো আমাদেরও স্বাস্থ্যবীমা ঘোষনার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব সমিতির রাজশাহী জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক ও আড়ানী ইউনিয়ন পরিষদ সচিব হাসানুজ্জামান জানান, করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের অধিকাংশ কর্মকর্তা, কর্মচারী ছুটি ভোগ করছেন। কোন প্রকার ছুটি ভোগ না করে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তৃণমূলে জনগনের সব ধরনের সেবা প্রদান করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার করোনায় ঝুঁকি নিয়ে যারা কাজ করবেন তাদের পুরষ্কৃত করাসহ স্বাস্থ্যবীমা প্রদানের ঘোষনা দিয়েছেন। আমরাও ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি। এমতাবস্থায় ইউনিয়ন পরিষদ সচিব, জনপ্রতিনিধি, গ্রাম পুলিশদের স্বাস্থ্যবীমার আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।