সারা বিশ্বের মানুষ চরম আতঙ্কিত। বাসা-বাড়ী থেকে প্রাণের ভয়ে অনেকেই বাইরেও বের হচ্ছেন না। অন্যদেশের তুলনায় আমেরিকায় করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই বড় হচ্ছে। সেখানে প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে হাজার হাজার মানুষজন। চারদিকে হাহাকার আর কান্না। ঠিক এই মুহুর্তে বাংলাদেশেও মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এরপর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন প্রতিদিন। আতঙ্ক দেশ কিংবা বিদেশে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের শ্রমজীবি মানুষগুলো পড়েছেন চরম খাদ্য সংকটে। আর এই চরম বিপদের সময়ে সূদুর আমেরিকা থেকেও নিজ জন্মভূমি সন্দ্বীপের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন হাজী আবদুল কাদের মিয়া।
তিনি নিজ নামীয় আত্মমানবতার সেবায় নিয়োজিত ‘আবদুল কাদের মিয়া ফাউন্ডেশনের’ মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ার পর এই পর্যন্ত দফায় দফায় প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছেন মানুষের জন্য। তবে এই অনুদানের সিংহভাগ ব্যয় হয়েছে সন্দ্বীপে। আর বাকী টাকা চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় অভাবী পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফুটানোর জন্য ব্যয় করা হয়। শুধু তাই নয়; এই অভাবের সময়ে চট্টগ্রামে নিম্ম এবং মধ্যবিত্ত একাধিক পরিবারের জন্যও তিনি নগদ টাকা পাঠিয়েছেন। এর আগে মুজিব জন্মশত বার্ষিকী পালন করার জন্য চট্টগ্রাম ও সন্দ্বীপে আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের কাছে বেশকিছু টাকার অনুদান পাঠিয়েছেন তিনি।
একাধিক সূত্র জানায়, ওই টাকা ব্যয়ে সন্দ্বীপে অন্তত পাঁচশত পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী এবং নগদ টাকা প্রদান করা হয়েছে। এতে খাবার পেয়ে হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যরা মহা খুশি। তাছাড়া প্রতিমাসেই তিনি নিজস্ব রেশন কার্ডের মাধ্যমে বেশকিছু পরিবারের সদস্যদের মধ্যে নিত্যপণ্য প্রদান অব্যাহত রেখেছেন। মানুষের কল্যাণে নিবেদিত আবদুল কাদের মিয়া নিউইয়র্ক এবং সন্দ্বীপে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িত আছেন। দলের জন্য তাঁর অনেক ত্যাগ এবং সহযোগিতা রয়েছে। হামলা-মামলারও শিকার হয়েছেন অনেকবার। সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় ওই কাদের সন্দ্বীপে গত দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে সামাজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। সন্দ্বীপে অনেক প্রবাসী থাকলেও তাঁর মতো গরীবদের জন্য অন্য কেউ পাশে দাঁড়ায়নি।
এভাবে আমেরিকা, কানাডা, জাপান এবং লন্ডন প্রবাসীরা এগিয়ে এলে সন্দ্বীপের অসহায় মানুষজন আরো অনেক উপকৃত হতেন বলে উপজেলাবাসী মন্তব্য করেন। গরীব মেয়ের বিয়ে এবং যুবকদের বিদেশ যাত্রা, চিকিৎসা কিংবা চাকুরীতে যোগদানের সময় তিনি সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন বলে এলাকায় জোরালো আলোচনা রয়েছে। স্কুল-কলেজ, মসজিদণ্ডমাদ্রাসা এবং সামাজিক সংগঠনে তাঁর সহযোগিতা অব্যাহত আছে। উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও কেন্দ্রীয় এবং চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সাথে আবদুল কাদের মিয়ার সু-সম্পর্ক রয়েছে বহুদিন। আবার সরকারের কয়েকজন গুরুত্বপুর্ণ মন্ত্রী এবং এমপির সাথে তাঁর সু-সম্পর্কের কথা এলাকার বহু মানুষ জানেন। চট্টগ্রাম হালিশহরেও তিনি অনেকগুলো সামাজিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত আছেন।
সূত্র জানায়, তিনি সন্দ্বীপের হাজী আবদুল কাদের মিয়া ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, নিউ ইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, যুক্তরাষ্ট্র সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, যুক্তরাষ্ট্রের বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক, আমেরিকান বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স ইউএসএর সহসভাপতি, যুক্তরাষ্ট্রের বঙ্গবন্ধু প্রজন্মলীগের সভাপতি, এবং সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য পদে ছাড়াও দেশ-বিদেশের একাধিক সেবামূলক সংগঠনের সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।