শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বন্য শুকরের কামড়ে এক নারী নিহত ও দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ রবিবার (১২ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মধুটিলা ইকোপার্কে ওয়াস টাওয়ার নিচে বনের কাছে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় নিহত ওই নারীর নাম আমেনা বেগম (৪৮) সে পোড়াগাঁও ইউনিয়নের পুর্ব সমেশ্চুড়া গ্রামের হবিবরের স্ত্রী। গুরুতর আহতরা হলো- নিহত আমেনার ছেলে রিয়াদ হাসান (১৫) পোড়াগাঁও গ্রামের ছোরহাবের স্ত্রী কহিনুর বেগম (৩৮)। আহত তিন জনেরই অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে স্থানান্তর করা হলে তখন আমেনা বেগম মারা যান।
বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আব্দুল করিম বলেন, করোনা ভাইরাসের কারনে ইকোপার্ক বন্ধ থাকায় আমেনা বেগম, তার ছেলে রিয়াদ হাসান ও কহিনুর বেগম তিনজনে মিলে লাকড়ী কুড়াতে ইকোপার্কের ভিতরে যায়। লাকড়ী কুড়ানোর এক পর্যায়ে ইকোর্পাকের ওয়াচ টাউয়ারে নিচে যায় তারা। এসময় হঠাৎ একটি বন্য শুকর কহিনুর বেগমকে আক্রমন করে। ওই সময় কহিনুর বেগমকে রক্ষা করতে গিয়ে রিয়াদ হাসান ও তার মা আমেনা বন্য শুকরের আক্রমণের শিকার হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স পাঠায়।
নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সর মেডিকেল অফিসার ডাক্তার শেখ ফারজানা বলেন, শুকরের কামড়ে আহত আমেনা, কহিনুর ও রিয়াদ ও নামের তিনজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে আসেন। এদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তিন জনকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুর রহমান বলেন, বন্য শুকরের কামরে একজন নিহত ও দুইজন আহত হওয়ার বিষয়টি শুনেছি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন প্রকার সহযোগীতা চাওয়া হলে আমারা উপজেলা প্রশাসন সহযোগীতা করব।
উল্লেখ্য, সারাবিশ্বে তথা বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসের কারনে ইকোপার্ক বন্ধ থাকায় এখন কোন লোকসমাগম নেই।