যশোরের মণিরামপুরে রবিউল ইসলাম (৩৩) নামে এক স্বাস্থ্য কর্মীর শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্বর্গ দেখা দিয়েছে। সে উপজেলার মশ্মিমনগর ইউনিয়নের হাজরাকাটি গ্রামের আব্দুল খালেক মোড়লের ছেলে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রবিউল বেশ কিছু ধরে জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছিলো। গত ৮ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করে যশোর সিভিল সার্জন অফিসে পাঠানো হয়েছিলো। এর আগে এক নার্স, তার স্বামী, এক এএসআইসহ ৭ জনের করোনা সন্দেহে নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর পাঠানো হয়। এদের মধ্যে ২জনকে আইসোলশনে রাখা হয়েছিলো। স্বাস্থ্য কর্মী ছাড়া পরীক্ষায় ৬ জনের করোনা নেগেটিভ এসেছে। বাকীদের রিপোর্ট এখনো আসেনি। আজ রোববারও ২ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শুভ্রা রানী দেবনাথ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গত ৮ এপ্রিলে পাঠানো রিপোর্ট আমি রোববার (১২ এপ্রিল) হাতে পেয়ে জানতে পেরেছি ওই স্বাস্থ্য কর্মীর শরীরে করোনা ভাইরাস পজেটিভ হয়েছে। আহত রবিউল তার শ্বশুরবাড়ি উপজেলার চিনাটোলা গ্রামের বারিক সরদারের বাড়িতে অবস্থান করেছে। খুব দ্রুত তাকে উপজেল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরিফী জানান, প্রাথমিক পর্যায় স্বাস্থ্য কর্মীর এলাকা লক ডাউন করা হয়েছে। এরপর জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে রিপোর্ট লেখার আগ পর্যন্ত রবিউল শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করছিলো।