কালীগঞ্জে করোনার উপসর্গ নিয়ে ইসরাইল হোসেন(৭)) মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর পর করোনা পরীক্ষার জন্য তাদের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া তাদের দু,টি বাড়ি লক-ডাউন করে লাল পতাকা টানিয়ে দিয়েছে প্রশাসন।কালীগঞ্জে মৃত্যু ব্যক্তির দাফনের কাজে গ্রামের কেউ সহযোগিতা করেননি। এমনকি গ্রামের কেউ কবর খুঁড়তেও এগিয়ে আসেননি। পরে কালীগঞ্জ শহর থেকে যাওয়া বিশেষ টিমের সদস্যরা পরিবারের এক সদস্যের সহযোগিতায় কবর খোঁড়েন।ওই ব্যক্তিকে বহনের জন্য দেওয়া হয়নি গ্রামের মসজিদে খাটিয়াও। ফলে মরদেহ মাটিতে রেখে জানাজা পড়ানো হয়।
কালীগঞ্জে করোনা রোগীদের দাফন-কাফনে তৈরি বিশেষ টিমের প্রধান উপজেলা মসজিদের খতিব মাওলানা রুহুল আমিন বলেন, ‘আমাদের আগেই প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের রোগীদের দাফনের কাজে পুলিশ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সর্বক্ষণিক সহযোগিতার কথা। কিন্তু তারাও তেমন সহযোগিতা করেননি। এই ব্যক্তিকে দাফন করতে গিয়ে প্রতিটি ধাপে চরম বিপাকে পড়তে হয়েছে। আল্লাহ না করুক পরে এমন প্রতিকুল পরিস্থিতিতে যেন না পড়তে হয়, স্থানীয় প্রশাসন তা যেন দেখেন। অপরদিকে এসআই আবুল খায়ের জানান, পুলিশের কর্মকর্তাদের নির্দেশে তিনি দায়িত্ব পালন করেন, এ সময় কেউ লাশ বহনের গাড়ি দিতে রাজি হচ্ছিল না,মৃত্যুর কথা শুনার পরে সাধারন মানুষ ও হাসপাতালের সাধারন কর্মচারিরা লাশের কাছ থেকে দুরে থাকছিল। অনেক সময় পরে এক ব্যাক্তিকে বুঝিয়ে তিনি একটি সিএনজি এনে লাশ গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মুহাঃ মাহফুজুর রহমান মিয়া করোনা উপসর্গ নিয়ে ইসরাইল হোসেন নামের এক বৃদ্ধ মারা যাওয়ার খবরটি নিশ্চিত করে বলেন, মারা যাওয়ার পর তার লাশ নেওয়ার জন্য কোন গাড়ী পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তেমন কোন লোকজন ছিল না। লাশ বাড়িতে পৌছিয়ে দেওয়া, জানাযা, দাফনসহ সবকিছুই কয়েকজন তরুন আলেম ও পুলিশ করেছে বলে তিনি দাবি করেন। পুুলিশের সাথে একজন ডাক্তার, একজন মসজিদের ইমাম ও মৃত ব্যক্তির এক ছেলে ছিল।