অনির্দিষ্টকালের জন্য লক্ষ্মীপুর জেলায় লকডাউন ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসক অঞ্চন চন্দ্র পাল।লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ও বিভিন্ন উপজেলায় সাধারণ মানুষ লকডাউন মান্য করে ঘর থেকে বের হয়নি। তবে জরুরি প্রয়োজেন অল্প কিছু মানুষ বের হলেও আবার দ্রুত চলে গেছে ঘরে। অপরদিকে জেলার রামগঞ্জ ও রামগতি উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দুইজন রোগী শনাক্ত হয়েছে। দ্ইুজনকে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা: আবদুল গফফর।
সিভিল সার্জন জানান, বর্তমানে ওই রামগঞ্জে করোনা সনাক্ত ৩৫ বছরের এক গার্মেন্টস কর্মী অসুস্থ অবস্থায় রামগঞ্জ উপজেলার কাশিমরগর গ্রামে এসে শশুর বাড়ীতে হোমকোরান্টাইনে ছিলেন। পরে পরীক্ষায় তার নমুনা সংগ্রহ করে চট্রগ্রামের বিআইটিআইডিতে পাঠানো হয়। ফলাফল পজেটিভ আসায় তাকে ঢাকা ঢাকায় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর রামগতিতে ৫৫বছরের এক বৃদ্ধের করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। বৃদ্ধ লোকটি ঢাকার নারায়নগঞ্জে তাবলিগ জামায়াতে ছিল। গত তিন দিন আগে সে নদী পথে রামগতির আলেকজান্ডার নিজ বাড়ীতে আসে। বাড়ীতে এসে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে আলেক জান্ডার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। পরে সন্দেহজনকভাবে তার নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য চট্রগ্রামে পাঠানো হলে তার শরীরে করোনা থাকার বিষয়ে নিশ্চিত হয় স্বাস্থ্য বিভাগ।
এ নিয়ে জেলায় ২জনের করোনা ধরা পড়লো। তার পরিবার ও আশপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। বাড়ি থেকে কেউ বের না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। তাছাড়া একন পুরো লক্ষ্মীপুর জেলাই লকডাইন জানিয়েছেন তিনি।
এই বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার ড. এসএম কামরুজ্জামান জানান,সর্বসাধারণের স্বার্থে লক্ষ্মীপুর জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে জেলাবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি।
জেলা প্রশাসক অঞ্জন চন্দ্র পাল জানান, করোনার বিস্তার রোধে লক্ষ্মীপুর জেলাকে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সংক্রান্ত জেলা কমিটির সভায় লক্ষ্মীপুরকে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জেলায় এ পর্যন্ত দুইজন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। তাই পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
তিনি আরো আরো জানান, লকডাউনের সময় জেলায় জনসমাগম ও যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে জেলার বাইর থেকে মানুষ বা যানবাহন প্রবেশ করতে কিংবা বের হতে পারবে না। তবে জরুরি সেবা (চিকিৎসা, ওষুধ, কৃষি পণ্য,খাদ্য সামগ্রী ও গণমাধ্যমের যানবাহন) এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। কেউ নির্দেশনা অমান্য করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।