সাপাহারে শাশুড়ীর নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে আদরী খাতুন (১৯) নামের এক সন্তানের জননী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সোমবার সকাল ৯’টার দিকে উপজেলার উত্তর পাতাড়ী গ্রামে মৃত আলমের ছেলে আয়ুব আলীর বাড়ীতে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
গ্রামবাসী সুত্রে জানা গেছে ২০১৭সালের দিকে আয়ুব আলী পাশ্ববর্তী তিলনী গ্রাম থেকে নাবলক অবস্থায় আদরীকে বিয়ে করে নিয়ে এসে সংসার শুরু করে। আর্থিক অনটন ও দৈন্যতার কারণে বছরের প্রায় সময় আয়ুব আলী স্ত্রীকে তার মা’র নিকট রেখে সে রাজধানী ঢাকায় গিয়ে আয় রোজগার করে বাসায় পাঠাত এবং মাঝে মধ্যে বাড়ীতে আসত। কিন্তু বিয়ের প্রথম থেকেই ঝগড়াটে শাশুড়ীর সাথে পুত্র বধু আদরীর বনীবনাত হত না প্রায় সময় ঝগড়া ঝাটি লেগেই থাকত। ঘটনার পূর্ব রাতে আবারো শুরু হয় শাশুড়ী বউয়ের মাঝে মনমালিন্য ও ঝগড়া ঝাটি। এ সময় শাশুড়ী বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় পুত্র বধুকে গালিগালাজ করে মানুষিক নির্যাতন করে। এরপর সোমবার সকাল ৯’টার দিকে তার স্বামী বাড়ী হতে গ্রামের মধ্যে বের হয়ে গেলে সবার অজান্তে গৃহবধু আদরী তার দুধের ১বছরের কন্যা সন্তানকে বিছানায় শুয়ে রেখে শয়ন ঘরের তির (কড়া)র সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে। এর কিছুক্ষন পরে স্বামী আয়ুব আলী বাসায় ফিরে এসে ঘরে গিয়ে তার স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ দেখে চিৎকার শুরু করে। আশে পাশের লোকজন ছুটে এসে ঝুলন্ত লাশ ফাঁস হতে নামিয়ে শুয়ে রাখা হয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে মৃত গৃহবধুর লাশটি উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়। এ বিষয়ে সাপাহার থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) আবদুল হাই এর সাথে কথা হলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন যে বউ শাশুড়ীর যুদ্ধের বিষয়টি আমিও শুনেছি তবে লাশ পোষ্ট মোর্টেম করা হবে। এ বিষয়ে থানায় একটি ইউডি মামলা দায়েরু হয়েছে।