বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত (কভিড-১৯) করোনা ভাইরাস বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। এই করোনা ভাইরাস আক্রান্ত থেকে মানুষকে বাঁচাতে সারা দেশে চলছে অঘোষিত লক ডাউন। যে কারণে সরকারী বেসরকারী অফিস আদালত যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্রত্যেকের ঘরে রাখতে সরকার অপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যে কারণে সরকার অসহায় দুস্থদের মাঝে খাদ্য বিতরণ অভ্যাহত রেখেছেন। তারপরও মানুষ বেরিয়ে আসছে বাইরে সেটা ঠেকাতে চলছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল। সরকার সব রকম ব্যবস্থা করলেও মধ্যেবিত্ত ও নিম্ন মধ্যেবিত্ত মানুষের জন্য ব্যবস্থা কি ? এমন প্রশ্ন এখন সচেতন মহলের।
ইতি মধেই মধ্যেবিত্ত ও নিম্ন মধ্যেবিত্তদের গচ্ছিত অর্থ ও ঘরের খাবার ফুরিয়ে আসায় অনেকেরই দিন কাটছে অর্ধাহারে। তারা কাউকে বলতে পারছেন না তাদের অসহায়ত্বের কথা। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা খোঁজও রাখছেনা তাদের। গত কয়েক দিন ধরে ওই সকল পরিবারের কয়েক জন এ প্রতিবেদকের কাছে মোবাইলে তাদের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরেন। অনেকে কেঁদেও ফেলেন।
এদিকে সামাজিক দুরত্ব বজায় না রেখে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় হতদরিদ্রদের মাঝে ১০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। জনপ্রতিনিধিরা অসহায় দুস্থদের সরকারী বরাদ্দের চাল বিতরণ অব্যাহত রাখলেও তা নিয়ে নানান অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা এলাঙ্গী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এ প্রতিবেদককে বলেন, স্থানীয় এমপি অ্যাড. শফিকুল আজম চঞ্চল ও আমি নিজে অসহায় দুস্থ মানুষের মাঝে সরকারী বরাদ্দের চাউল বিতরণ করেছি। আবার আসলে আবারও দেয়া হবে। তিনি বলেন ইতিমধ্যেই আমেরিকা প্রবাসী নিজের ভাগনে কেবি আল্ মাসুমের দেয়া ১টন চাল, আলু, ডাল ও তেল বিতরণ করেছি। বর্তমানে মধ্যেবিত্ত ও নিম্ন মধ্যেবিত্তদের কথা বিবেচনা করে ইতি মধেই ইউনিয়ন পরিষদের টাকায় ১টন চাল ও নিজের ব্যক্তিগত টাকায় ১টন চাউলসহ আলু, ডাল ও তেল কিনেছি। তিনি বলেন, মধ্যেবিত্ত ও নিম্ন মধ্যেবিত্ত এমন অনেক পরিবার আছে না খেয়ে থাকলেও তারা কারুর কাছে হাত পেতে কিছু নিবে না বা হাত পাততেও জানেনা। ওই সকল পরিবারকে খোঁজ করে রাতের অন্ধকারে আমি নিজে তাদের বাসাতে যেয়ে এ খাবার গুলি দিয়ে আসবো। তিনি আরো বলেন, খাবারের সমস্যা থাকলে আমার ইউনিয়ের এ সকল পরিবার গুলি আমার সাথে নিরদ্বির্ধায় মোবাইলে যোগাযোগ করতে পারে। আমি নিজেই সবার অলক্ষে খাবার পৌঁছে দেব।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজনিন সুলতানা বলেন, ইতি মধ্যেই জনপ্রতিনিধিদের এ ধরনের পরিবার গুলির তালিকা করতে বলা হয়েছে। সামনে বরাদ্দ এলে ওই সকল পরিবার গুলির সহযোগিতা করা হবে।