সারা পৃথিবী যখন ব্যস্ত করোনা মোকাবেলাই, মাটি খেকোরা তখন সুযোগ সন্ধানী। এমনি শিরোনামে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে সমাজের বিবেকহীন মানুষের কাজের কর্মকান্ড তুলে ধরেছেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইমরানুল হক।
সত্যিই তাই করোনা দূর্যোগে যখন সকল প্রশাসন এটিকে মোকাবেলায় খুবই ব্যস্ত সময় পার করছে। তখন তাদের চোখে ফাঁকি দিয়ে সরকারি নিষেধ অমান্য করে গোপনে পুকুর খননের কাজটি করছিলো
কিন্তু তাতেও রক্ষ হয়নি এসব মাটিখেকোদের। সোমবার (১৩ এপ্রিল) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোদাগাড়ী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইমরানুল হক ঘটনাস্থলে গিয়ে হাজির হয়ে তাদের সাজা প্রদান ও একটি এস্কেভেটর মেশিন জব্দ করে।
সহকারি কমিশনা মোহাম্মদ ইমরানুল হক জানান, সোমবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাটিকাটা ইউনিয়নের ফরাদপুর নামক স্থানে কৃষি জমিতে পুকুর কাটা বন্ধে মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এই সময় ঘটান স্থল থেকে মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত এস্কেভেটর মেশিন জব্দ করা হয় এবং বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থা আইন ২০১০ অনুযায়ী চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদ উপজেলার চাটাইডুগি এলাকার মৃত আজিমুদ্দিনের ছেলে মোঃ আজিজুর রহমান (৩০) ও শিবগঞ্জ উপজেলার বাইলার দিয়ার এলাকার মৃত কেতাব আলীর ছেলে মোঃ ফারুক (২৫) কে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করেন রাজাবাড়িহাট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ খাইরুল ইসলাম, উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মচারীবৃন্দ, গোগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব মজিবুর রহমান এবং প্রেমতলী পুলিশ ফাঁড়ির দুজন সদস্য।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইমরানুল হক জানান, গোদাগাড়ী উপজেলাতে দীর্ঘদিন হতে অবৈধভাবে পুকুর খনন করে আসছে এক শ্রেণীর অসাধু মানুষ। গত কয়েক মাসে আমি নিজে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনতা করে অনেককেই জেল জরিমানা ও মেশিন জব্দ করেছি। মধ্যে সময়ে পুকুর খনন বন্ধ ছিলো। এই করোনা মোকাবেলায় যখন পুলিশ, ইউএনও ও নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেটরা ব্যস্ত সময় পার করছে আর এটিকে তারা সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে গোপনে পুকুর খনন করছিলো কিন্তু প্রশাসন সবদিক হতেই তৎপর থাকায় তা করতে পারেনি। এমন অভিযান অব্যহত থাকবে বলেও তিনি জানান।