করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত থেকে বাঁচতে সকলেই চেষ্টা করছেন। বিরামহীন ভাবে চেষ্টা করছেন সরাইল উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন। এখানকার ৩ টি হাটে প্রতিদিন মানুষের গিজাগিজি ভাবিয়ে তুলেছিল সবাইকে। সামজিক দূরত্ব বজায় রাখতে খোলা উম্মুক্ত মাঠে হাট বাজার স্থানান্তরের দাবী তুলেছিল এখানকার সামাজিক সচেতন লোকজন। এরই অংশ হিসেবে প্রশাসনের নির্দেশে সরাইল সদরের উম্মুক্ত জায়গা সরকারি অন্নদা উচ্চবিদ্যালয়ের খেলার মাঠে বসেছে হাট। বুধবার সকাল থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য যাত্রা শুরূ হয়েছে এ হাটের। বাজার কমিটির মাইকিং ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সরাইল বিকাল বাজার, প্রাত: বাজার ও হাসপাতাল মোড় বাজার। উপজেলা সদরে প্রতিদিনই এ তিনটি বাজার বসে। প্রত্যেকটি বাজারেই বিক্রেতারা চিরাচরিত ভাবে গিজাগিজি করে বসে আসছেন। ইচ্ছে করলেও এখন দূরত্বে বসতে পারবে না। এ ছাড়া নারী পুরূষ মিলে প্রচুর লোক সমাগম হয়। যাতে করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বেশী। বিষয়টি নিয়ে ভাবনায় পড়েন স্থানীয় কিছু সমাজসেবক ও মিডিয়া কর্মী। ঠিকাদার শফিকুল ইসলাম সেলু প্রথম ওঁর ফেসবুক আইডিতে অন্নদা স্কুলের মাঠে কাঁচা বাজার স্থানান্তরের প্রস্তাব রাখেন। বিষয়টিকে গুরূত্ব সহকারে আমলে নিয়ে এলাকার সকলেই সমর্থন দিয়ে ওঁর ষ্ট্যাটাসে কমেন্স করতে থাকেন। বিষয়টি বাজার কমিটি ও উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসে। প্রশাসন এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার স্বার্থে সরাইল সদরের সকল ব্যবসায়ি ও ক্রেতা সাধারণের সুবিধার্থে অন্নদা স্কুল মাঠে মাছ মাংশ সহ সকল কাঁচা মালামালের হাট বসানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে এ বিষয়ে বুধবার সকালে স্বপন মিয়ার মাধ্যমে সমগ্র এলাকায় মাইকিং করিয়েছেন। গত মঙ্গলবার রাত থেকেই মাঠে বাজারের পসরা সাজাতে শুরূ করেছেন বিক্রেতারা। আর গতকাল সকাল ৯টা থেকেই ক্রেতারা বাজারে আসতে থাকেন। বেলা বাড়ার সাথে বাড়তে থাকে ক্রেতার সংখ্যা। সকলেই স্বাচ্ছন্দে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করে বাজার করেন। বাজারের ক্রেতা সরাইল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ বদর উদ্দিন, ঠিকাদার ও সমাজসেবক শফিকুল ইসলাম সেলু ও সমাজকর্মী মো. রওশন আলী বলেন, খুবই ভাল লেগেছে। কারণ উম্মুক্ত পরিবেশে কোন রকম গিজাগিজি ছাড়াই ইচ্ছেমত বাজার করতে পেরেছে। বিক্রেতারাও নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে বসেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম মোসা বলেন, উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশেই বাজার পরিচালনা কমিটি স্কুল মাঠে বাজার বসানোর ব্যবস্থা করেছেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই স্থানে বাজার চলতে থাকবে।