নত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় বুধবার ওএমএস এর প্রায় ১ টন (২৭ বস্তা) চাউল উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় দুটি মোটর সাইকেল জব্দ করা হয়। একটির নাম্বার ময়মনসিংহ-হ-১২-০১৫৩ অন্যটির নাম্বার বিহীন কোন কাগজপত্র নেই।আজ সকালে ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কালিখা থেকে তিনটি মোটর সাইকেলে করে ৪ বস্তা চাল নিয়ে পূর্বধলার দিকে আসছিল। এ সময় উপজেলার হোগলা চৌরাস্তা নামক স্থানে সাবেক ইউপি মেম্বার মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মজিদ, ডা. মো: আশরাফ ও হাবিব ব্যাপারি সহ স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হলে তারা মোটর সাইকেল আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা দুুইটি মোটরসাইকেল রেখে অন্যটি নিয়ে পালিয়ে যায়। চক্রের সাথে জড়িত পলাতক ব্যাক্তিরা হলেন হোগলার আমিন খানের ছেলে রাজিব খান ও নূর ইসলামের ছেলে সোহাগ খান। পরে স্থানীয় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার জটিয়াবর গ্রামের আতিক সরকারের চাল কল থেকে ১৫ বস্তা ও জামকোনা গ্রামের আবুল কাশেমের বাড়ি থেকে ৮ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়।তারাকান্দা উপজেলার খামারগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দীনের ভাতিজা আশরাফুল ইসলাম সরকার ওএমএস চালের ডিলার। জানা যায় তার সাথে যোগাযোগ করে এই চাল আনা হয়েছে।তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্কাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম, পূর্বধলা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ তাওহীদুর রহমান, কর্মকর্তা ইনচার্জ (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মনজুরুল হক ও ওসি এলএসডি মশিউর রহমান। সংবাদ কর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিল মোস্তাক আহমেদ খান, আমাদের সময়ের উপজেলা প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান, আনোয়ার হোসেন মন্ডল, আল মনসুর, এস এ টিভির প্রতিনিধি দেবল চন্দ্র, ৭১ টিভির প্রতিনিধি শুভ্রতা সাহা সুমন ও স্থানীয় সাংবাদিক মামুন।উদ্ধার কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেন হোগলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খোকন। তিনি বলেন, চালগুলো পাশ্ববর্তী উপজেলা থেকে একটি চক্র পূর্বধলা উপজেলায় নিয়ে আসছিল। চালগুলো সরকারি এটা চিহ্নিত করা হয়েছে।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম বলেন জব্দকৃত চাল স্থানীয় চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে দুদক ও জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।পূর্বধলা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ তাওহীদুর রহমান বলেন, ঘটনাটি ডায়রিভুক্ত করে রাখা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন মামলা দায়ের করা হয়নি কারণ কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া তারাকান্দা উপজেলা খাদ্য অফিসকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে ওখান থেকে তথ্য উপাত্ত সরবরাহ করে এবং এর উপর ভিত্তি করে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জটিয়াবর গ্রামের মো: জয়নালকে এই প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত বলে অনেকেই মনে করছেন। তিনি উপস্থিত সংবাদকর্মী ও পুলিশের সাথে দুর্ব্যাবহার করেন।