জেলায় প্রাণঘাতী তিনজন করোনা করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়েছে। যারজন্য, রাজশাহীকে লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসক। তারপরও নানা অজুহাতে, পুঠিয়া উপজেলার কিছু স্থানে প্রতিনিয়ত লোকসমাগম দেখা যাচ্ছে। মানুষকে ঘরমুখী করতে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.ওলিউজ্জামান, ফেসবুকসহ বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে দিয়ে সচেতন করার জন্য উপজেলাবাসীকে আহবান করে আসছেন।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে গত তিনদিনে রাজশাহী জেলায় মোট তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। তার ভেতর দুইজনই পুঠিয়া উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা। যার কারণে উপজেলা প্রশাসন অনেকটা কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। গত ১২ এপ্রিল রাজশাহী জেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি উপজেলার জিউপাড়া-বগুড়াপাড়া গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে ইউসুফ আলী । ওই ব্যক্তি গত ৪ এপ্রিল ঢাকা থেকে বাড়ি এসে আত্মগোপন করেছিল। এরপর তার শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। তিনি গত ৯ এপ্রিল পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে আসলে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তারপর থেকে সে হোম কোয়ারেন্টিনে ছিল। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পাঠালে গত ১৩ এপ্রিল তার করোনা শনাক্ত নিশ্চিত হয়। পরে আক্রান্তের বাড়িসহ ৪৩টি বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছেন প্রশাসন। গত ১৪ এপ্রিল পুঠিয়া উপজেলায় নারায়ণগঞ্জ ফেরত লাবনী নামের এক নারীর শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। তার বাড়ি উপজেলার গন্ডগোহালী গ্রামে। তার স্বামীর নাম শাহিন। সে স্বামীর সঙ্গে নারায়ণগঞ্জে থাকতেন। তার স্বামী সেখানে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমা আক্তার জানান, তার স্বামীর রিপোর্ট নেগেটিভ। জেলার প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে গতকাল ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের দিন বেলা ১১টায় ইউএনও মো. ওলিউজ্জামান আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ির সামনে গিয়ে উপহার হিসেবে দরজার সামনে রেখে দেন চাল, ডাল, শাক-সবজি, তেল, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মুড়ি, চিড়া, খেঁজুর গুড়, নতুন গামছাসহ ৩১ ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ওলিউজ্জামান বলেন, গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন মাধ্যমে কৌশলে এখনও রাজশাহী আসছেন অনেক মানুষ। উপজেলা প্রশাসন জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের না হওয়ার বারবার নির্দেশনা থাকলেও মানুষ প্রতিনিয়ত কিছু স্থানে গণজমায়েত সৃষ্টি করছে। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি, মানুষকে ঘরমুখী করার জন্য। মানুষজন করোনাভাইরাসকে বেশি গুরুত্ব না দেয়ায়। রাজশাহীকে লকডাউন ঘোষণা করা রয়েছে। তারপরও ছুটিতে ঘরে না থেকে বাইরে বের হচ্ছে।