নেত্রকোনার দুর্গাপুরে হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় স্বস্থিতে হাজারো কৃষক। ১৫ এপ্রিল বুধবার ১২টার দিকে হঠাৎ হালকা বাতাসসহ বৃষ্টি শুরু হয়। করোনা আতঙ্কেও একদিকে মৃত্যুর খবরে দিশেহারা, অন্যদিকে প্রচন্ড বৃষ্টিতে কৃষক এখন মহা খুশি !
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও পৌর সদওে দেড়ঘন্টা ব্যাপী বৃষ্টি হয়েছে। এতে কৃষকের কষ্টের চাপ কমেছে। বোরো আবাদি জমির পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছিল চারদিকে। এসময়ে পানির লেয়ার নিচে চলে যাওয়ায় পানির পাম্প,সেলু মেশিন ও টিউবওয়েল এ পানি আসছিলো না। ফলে নানা সমস্যার সম্মূখিন হতে হচ্ছে কৃষকের। আর ঐসব জমিতে পানি সকালে দিলে,বিকেলে শুকিয়ে যেত। ডিজেল চালিত মেশিনে বোরো জমির মালিকদের চরম দৈন্যদশা পোহাতে হচ্ছে। আর এ স্বস্তির বৃষ্টির পেয়ে যেন মহাকাশে আনন্দের বন্যা বইছে। বিশেষ করে সীমান্ত এলাকার বসতিদের পানি দূর্ভোগের যেন শেষ নেই। যেখানে খাবার পানি জুটে না,সেখানে গোসল করার পানি সঙ্কট চরমে। এ বৃষ্টি হওয়াতে কিছুটা হলেও খাবার পানির চাহিদা মেটাতে পারবেন বলে সীমান্তবর্তীদের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানাগেছে। কৃষকের প্রতি কাটা জমিতে ডিজেল চালিত মেশিনে পানি দিতে ১০/১২ লিটার ডিজেল চলে গেছে। বাকী দিনগুলিতে আরো কাটা প্রতি কত লিটার লাগে তা নিয়ে কৃষকদের ছিলো শঙ্কা। সেই চরম শঙ্কারমাঝে স্বস্তির নিশ্বাস নিতে পেরেছে কৃষক। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.এল.এম রেজুয়ান জানান, উপরওয়ালার রহমতে এ বৃষ্টি এখানকার বোরো আবাদি ফসলি জমির জন্য অনেক উপকার বয়ে আনবে। আগামী দশদিন এ ফসলির জন্য পানির চাহিদা ব্যাপক ছিলো। এবারে এ উপজেলায় সতের হাজার চারশত হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ চাষ করা হয়েছে। প্রাকৃতিক কোন রকম দূর্যোগ না হলে বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই এলাকায়।