খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি চার কার্ড বিতরণে অনিয়ন এবং কার্ড এর পরিবর্তে স্লিপের মাধ্যমে বিতরণ করায় ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার সুবিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রেজাউল করিম সোহাগ খানকে এক মাসের কারাদ- দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার দুপুরে নলছিটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুম্পা সিকদার এ দ-াদেশ প্রদান করেন। জানাগেছে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ১০ টাকা কেজির চাল কার্ডের মাধ্যমে প্রদানের কথা থাকলেও ইউপি সদস্য রেজাউল করিম সোহাগ সরকারি আইন অমান্য করে স্লিপের মাধ্যমে চাল বিতরন করছিল। এছাড়াও তিনি এক জনের কার্ড ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অন্যজনকে দিয়ে বিভিন্ন সময় চাল কিনতে সহযোগিতা করেন। অনেক দরিদ্র মানুষকে কার্ড না দিয়ে সে নিজের কাছে জমা রাখে। পছন্দের লোকজনকে এসব কার্ড দেয়। এসব অভিযোগ পেয়ে দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ইউনিয়ন পরিষদের গিয়ে অনিয়মের প্রমান পায়। এসময় সোহাগ খানকে আটক করে। পরে তাকে এক মাসের কারাদ- প্রদান করা হয়। এ ব্যাপারে নলছিটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুম্পা সিকদার, জানান সরকারি আদেশ অমান্য করায় ইউপি সদস্য সোহাগকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায় ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
এদিকে এক সাথে সরকারি তিন বস্তা চাল নিজ বাড়িতে রাখা ও ব্যক্তিগত সুবিধা পাওয়ার জন্য মিথ্যা তথ্য প্রদান করার অপরাধে জেলার রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের গালুয়া দূর্গাপুর এলাকার বাবুল হাওলাদারের স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৩৮) কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো সোহাগ হাওলাদার। বুধবার দুপুরে এ জরিমানা করা হয়।
অন্যদিকে ঝালকাঠি সদর উপজেলার বাসন্ডা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. মনিরুজ্জামানের বাড়ি থেকে আড়াই টন সরকারি চাল উদ্ধারের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ঝালকাঠি সদর থানায় এজাহার দায়ের করেছেন পিআইও মোজাম্মেল হক। থানা থেকে এজাহার বরিশাল দুদকে প্রেরণ করা হয়েছে। এজাহার দায়েরের পর থেকে ওই ইউপি সদস্য পলাতক রয়েছেন। ৫ এপ্রিল রাতে ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান মনিরের আগরবাড়ি গ্রামের বাড়ি থেকে সরকারী ত্রানের আড়াই টন চাল উদ্ধার করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তথ্যের ভিত্তিতে রাতে ইউপি সদস্য মনিরের বাড়িতে অভিযান চালায় নির্বাহী ম্যাজিট্রেট (এনডিসি) আহম্মেদ হাসান। ত্রানের চাল বিতরণ না করে অবৈধ ভাবে বাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে সরকারী বস্তা বদল করে নুরজাহান ব্রান্ডের প্লাষ্টিক বস্তায় প্যাকেট করা হচ্ছিলো। এর পরে থেকে ওই ইউপি সদস্য দাবি করে আসছিল এই চাল তিনি তার ব্যক্তিগত অর্থে কিনে মজুদ করেছেন যা কোন এক সময় স্থানীয় দরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করবেন। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এঘটনা তদন্তে তিন সদস্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান মনিরের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেন দেন।