রাজশাহী পুঠিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের দু’শতটি ঘর দেয়ার নাম করে এক ইউনিয়ান চেয়ারম্যানের কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে। অভিযুক্ত উপজেলার ভালুকগাছি ইউনিয়নের চেয়াম্যান তাকবির হাসান ছাড়াও অভিযুক্ত চার জন উপস্থিত ছিলেন। পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে জানা গেছে, ভালুকগাছি ইউপি চেয়াম্যাননের বিরুদ্ধে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেয়ার নাম করে টাকা নেয়ার অভিযোগ দেন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারী উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার রাজশাহী বরাবর। অভিযোগকারি মফিজুল ইসলামসহ তিনজন ব্যক্তি অভিযোগ করেন। যার স্বারক নং ০৫.৪৩.৮১০০.০১৬.০৮,০১৫,১৯। পুঠিয়া উপজেলার ভালুকগাছি ইউনিয়নের চেয়াম্যান তাকবির হাসান সরকারী খরচে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের দু’শতটি ঘর নির্মান করে দেয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ঘর প্রতি ২হাজার ২’শ ৫০ টাকা টাকা করে টাকা আদায় করেন। এতে প্রায় ২’শ লোকের কাছ থেকে ৬ লক্ষ থেকে ৭ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার প্রমান পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন যাবত অতিবাহিত হওয়ার পরও চেয়াম্যান ঘর দেয়ার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তারা খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন যে সরকারের এ ধরনের কোন প্রকল্প ভালুকগাছি ইউপি নেই। ভুক্তভুগিরা বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব মিথ্যা আশ্বাস ও অসৎ উদ্দেশ্যে টাকা আতœসাৎ দুর্নীতি করা জন্য টাকা নিয়ে ছিলেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ভালুকগাছি ইউনিয়নের চেয়াম্যান তাকবির হাসান বলেন, এ ব্যাপারে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেছে। শুধু আমার হেও করার জন্য। একটি পক্ষ তাদের কে দিয়ে অভিযোগ দেয়ায়েছে। আমি ঘর দেয়ার নামে কোনো টাকা গ্রহন করিনী।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ওলিউজ্জামান বলেন ঘর দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়ার বিষয়টি প্রমান পাওয়া গেছে। চেয়ারম্যাম সরাসরি টাকা নেয়নি। ইউপি সদস্য এবং এলাকার প্রভাবলালীরা টাকা নিয়েছে। আমি রাজশাহী জেলা প্রশাসক মহদয় বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন পাঠাবো।