জ্বর, সর্দি, কাশি বা শ্বাসকষ্ট কিছুই নেই। শুধু নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন বলেই তাঁর নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। ধরা পড়ে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি। তার বাড়ি রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌরসভার হরিদাগাছি গ্রামে। ওই নারীর বয়স ২৪ বছর। ওই রোগীর পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার সময় রাজশাহীর সিভিল সার্জন মহা. এনামুল হক আক্ষেপ করে বলেন, ‘করোনার কোনো উপসর্গ নেই। লিখে দিন, উপসর্গ হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ বা ঢাকা থেকে আসা লোক।’
এ নিয়ে রাজশাহীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত চারজন রোগী পাওয়া গেল। চারজনের মধ্যে তিনজনই নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা। আগের তিনজনের মধ্যে প্রথম দুজনকে মোটামুটি বিপদণ্ডমুক্ত বলছেন চিকিৎসকেরা।
সিভিল সার্জন বলেন, মোহনপুরের নারী গত ৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে বাড়িতে আসেন। তাঁর কোনো উপসর্গ নেই। শুধু এলাকাবাসীর অভিযোগ ছিল মেয়েটি নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন। এই তথ্যের ভিত্তিতে তাঁরা গত বুধবার তাঁর নমুনা সংগ্রহ করেন। পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়ে। সিভিল সার্জন বলেন, মেয়েটিকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাঁর ফোন নম্বর রাখা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। কিছু হলেই চিকিৎসা দেওয়া হবে।
রাজশাহীতে ১ এপ্রিল থেকে করোনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে। রাজশাহী জেলা গত ১১ এপ্রিল পর্যন্ত করোনামুক্ত ছিল। ১২ এপ্রিল রোববার প্রথম এ জেলায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়। ১৪ এপ্রিল সকাল ১০টা থেকে রাজশাহী জেলাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়।