কুমিল্লার হোমনায় করোনার উপসর্গ নিয়ে তাথৈ নামে সাড়ে চার বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার মাথাভাঙা ইউনিয়নের বিজয়নগর থেকে শিশুটিকে সর্দি, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে শুক্রবার ভোরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পর্যবেক্ষণ করে প্রাথমিকভাবে করোনা সন্দেহ হলে শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ঢাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পথিমধ্যেই শিশুটির মৃত্যু হয়। বিজয়নগরের ওই বাড়িসহ পাশর্^বর্তী আরও কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করেছে প্রশাসন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিশুটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পাশর্^বর্তী বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মায়ারামপুর গ্রামের সুমন মিয়ার মেয়ে। তারা ঢাকায় থাকত। শিশুটির মা অন্তঃস্বত্ত্বা অবস্থায় ২০/২৫ দিন আগে ঢাকা থেকে বাবার বাড়ি হোমনা উপজেলার মাথাভাঙা ইউনিয়নের বিজয়নগর গ্রামে আসে। কিছুদিন আগে শিশুটির নানাও কক্সবাজার থেকে এসেছেন।
শিশুটির পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুছ ছালাম সিকদার জানান, কয়েকদিন আগে থেকেই শিশুটি সর্দি ও জ্বরে ভুগছিল। স্থানীয়ভাবে তার চিকিৎসা করিয়েছে। আজ (শুক্রবার) প্রচ- শ্বসকষ্ট দেখা দিলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পর্যবেক্ষণ করে করোনার উপসর্গ রয়েছে দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। পরে শুনেছি, পথিমধ্যেই শিশুটি মারা গেছে। শিশুটির নমুনা সগ্রহ করা হয়েছে। পজেটিভ এলে বাকী সদস্যদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপ্তি চাকমা বলেন, উপজেলার বিজয়নগর গ্রামে করোনার উপসর্গ নিয়ে শিশুটি মৃত্যুবরণ করায় ওই বাড়িসহ পাশর্^বর্তী আরও কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। শিশুটির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। করোনা পজিটিভ এলে পুরো গ্রামকে লকডাউন করা হবে। স্থানীয়ভাবে দাফন কাফনে ভয়ে কেউ এগিয়ে না আসায় করোনা বিষয়ক নির্ধারিত কমিটির মাধ্যমে শিশুটির দাফন কাফন করা হয়েছে। জানা গেছে, তারা ঢাকা থেকে আগত। ঢাকা থেকে আগত তাদের আরেক প্রতিবেশীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে এবং বৃহস্পতিবার ত্রাণ সহায়তাও দেওয়া হয়েছে।