কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে কামরুল হোসেন নামের এক পল্লী চিকিৎসকের বাড়ি লকডাউন করে ওই চিকিৎসকসহ তার পরিবারের ১১ জন সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা আইইডিসিআরে পাঠিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার উপজেলা দৌলখাঁড় ইউপির হাজীর বাম গ্রামের পল্লী চিকিৎসকের বাড়ি লকডাউন করা হয়।
জানা যায়, পল্লী চিকিৎসক কামরুল হোসেন দুবাইর বাজার এলাকায় সেবা ফার্মিসী নামে একটি ঔষধের দোকান দিয়ে এলাকার মানুষের সেবা দিয়ে আসছেন। কয়েকদিন পূর্বে নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার উন্দানিয়া গ্রামের আলী আক্কাস (৪৫) নামের এক রাজমিস্ত্রিকে জ্বর ও সর্দির চিকিৎসা দেয় কামরুল হোসেন। পরে গত রোববার করোনা উপসর্গ নিয়ে নিজ বাড়িতে মারা যায় ওই রাজমিস্ত্রি। করোনা সন্দেহ হলে তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। সেখানে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এ খবর শুনার পরপরই নাঙ্গলকোট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মিল্টন বিশ্বাস ওই বাড়িটি লকডাউন করে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নাঙ্গলকোট থানার এস আই শফিকুল ইসলাম সহ থানা সঙ্গীয় ফোর্স।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মকর্তা ডাক্তার দেব দাস দেব বলেন, পল্লী চিকিৎসক কামরুল হোসেনের পরিবারের ১১ জন সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষা করার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।