নারায়নগঞ্জে একটি প্রাইভেট হাসপাতালের কর্মচারী ৩০ বছরের এক যুবক কয়দিন আগে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৫ নং গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের বৈচাতরী তার নিজের গ্রামের আসে। আসার পর থেকে সে জ্বর সর্দিতে আক্রান্ত। সন্দেহ হলে পরে তার নমুনা আইইডিসিআর পাঠানো হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার তাকে চাঁদপুর ২৫০ শর্য্যা মেডিক্যালে আইসোলেশনে রাখা হয়। ১৭ এপ্রিল শুক্রবার আসা নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা টেস্ট পজেটিভ আসায় পুরো গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। তাৎক্ষণিক উপজেলা প্রশাসন ওই গ্রামকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মেস্ত্রী বাড়ী চারদিকে বিপদজনক লাল নিশানা টানিয়ে দেয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলী হরি জানান, বৈচাতরী গ্রামের যুবক করোনা আক্রান্ত হয়ে নারায়গঞ্জ থেকে সে বাড়ী আসে। শুক্রবার তার নমুনা রিপোর্ট পজেটিভ আসায় উপজেলা প্রশাসন পুরা গ্রাম লকডাউন ঘোষণা করে। একই সাথে তার পরিবার ও বাড়ী সকলকে কোয়ারাইন্টনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। স্থানীয় চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদ সংশ্লিষ্টদের ওই পরিবারের প্রয়োজনী খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করার নির্দেশও দিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দীন বাবুল পাটওয়ারী জানান, মেস্ত্রী বাড়ীর ওই যুবক নারায়নগঞ্জে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে কর্মচারী হিসেবে কর্মরত ছিল। গত ১০/১২ দিন আগে সে জ্বর নিয়ে বাড়ী আসে। তার বাড়ী লোকজন তাকে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে সন্দেহ হলে, তার নমুনা আইইডিসিআর পাঠানোর পর শুক্রবার নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা টেস্ট পজেটিভ আসে। এর আগে গত মঙ্গলবার তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হলে তাকে চাঁদপুর সরকারী হাসপাতালে পাঠানো হয়। আমরা উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের নির্দেশমতে তাৎক্ষণিক প্রয়োজনীয় ও কঠোর ব্যস্থা নেই।