করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে যখন চারিদিকে মানুষ ঘরবন্দি তখন রাস্তায় পড়ে থাকা মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিদের খোঁজ খবর রাখার মত কেউ নেই! কিন্তু এসময় মানবতার সেবায় একদল মানুষ তাদের পাশে এগিয়ে এসেছে। তেমনই এক ঘটনা দিনাজপুর শহরের ষষ্ঠীতলা এলাকায়।
রাস্তার ধারে পড়ে থাকা মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির পাশে এগিয়ে এসেছেন সাংবাদিক ও একদল স্বেচ্ছাসেবক। নিয়মিত খাবার দেওয়া, নতুন জামা কাপড় ও চুল কেটে সুস্থ্য করে তোলার প্রয়াসে কাজ করছেন দলটি। এই স্বেচ্ছাসবক দলটি দিনাজপুর শহরের মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি, পথ শিশু ও অবলা প্রাণী কুকুরকে নিয়মিত খাবার পরিবেশও করছেন। এই ভালো কাজে সহযোগিতারও হাত বাড়িয়েছেন অনেকেই।
স্বেচ্ছাসেবক দলের টীম লিডার আফসানা ইমু। আফসানা ইমুকে সহযোগিতা করছেন দোলা আক্তার, আয়না খানম। গত বৃহস্পতিবার বিকালে শহরের ষষ্ঠীতলা এলাকায় রাস্তায় পড়ে থাকা মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে পরিস্কার পরিচ্ছন করার পাশাপাশি নতুন জামা কাপড় পড়িয়ে নতুন রূপে সজ্জিত করেন দলটি।
এ বিষয়ে আফসানা ইমু বলেন, আমার ৬টি পোষা কুকুর আছে। আমি অবলা প্রাণী, মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি ও পথশিশু যারা কষ্টে থাকেন তাদের কষ্টে আমার সাধ্যমত চেষ্টা করি পাশে দাঁড়াতে। এতে মনে আলাদা তৃপ্তি পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে দিনাজপুর নাগরিক কমিটি ও সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, সারাবিশ্ব যখন করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ তখন অনেক মানুষই বিপর্যয়ের মধ্যে পড়েছেন। কিন্তু সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন রাস্তায় রাত কাটানো মানুষগুলো। দিনাজপুর শহরে পথশিশু, মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষ গুলোর নিয়মিত খোঁজখবর রাখার কাজ করছেন একদল স্বেচ্ছাসেবক। তাদের এই মহৎ কাজগুলো যেনো সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে উৎসাহিত হয়ে অন্যরাও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ায় আমি এই আহবানটুকুই করব।
সাংবাদিক আব্দুল মোমেন বলেন, বর্তমানে সাংবাদিকতার পাশাপাশি এই দুর্যোগকালীন সময়ে অবলা প্রাণী, অসহায় মানুষের পাশে স্বেচ্ছায় দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। অনেকেই আর্থিকভাবে সহযোগিতা করছেন। যারা সহযোগিতা করছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা! আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ভালো কিছু করার।