রাজশাহী পুঠিয়ায় সহকারি কমিশনার (ভূমি) গত ১৫ এপ্রিল ঝলমলিয়া বাজারে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে যায়। ওইদিন তিনি বাজারের নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান খোলা রাখার দেখতে পায়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ তুলেছেন,তাদের বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি দেখায়ে বেশ কয়েকটি দোকানদারদের নিকট টাকা নেয়ার হয়েছে। যা দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ করা রয়েছে।
জানা গেছে, রাজশাহী জেলায় তিনজন করোনাভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর ভেতর দুইজন পুঠিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা। গত ১২ এপ্রিল রাজশাহী জেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত ১৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকালে ঝলমলিয়া বাজারে উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) রুমানা আফরোজ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সেখানে আসেন। তিনি এসে দেখেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় চাল, ওষুধ, রাসায়নিক সারের দোকানগুলো খোলা ছিল। দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণকৃত ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছে। তিনি নিজে ক্ষিপ্ত হয়ে দোকানে লাথি মারছে এবং তার ব্যক্তিগত লোক লাঠি দিয়ে ভয়ভীতি হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করছে। এর মাঝে কয়েকটি দোকান থেকে তার লোকেরা পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা নামে আদায় করে নিয়ে ছিল। কিন্তু দোকান মালিকেরা যখন বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স্যার আমাদেরকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আমরা দোকান খোলা রেখেছি। ঝলমলিয়া বাজারের মা চাউল ভান্ডারের মালিক সার্জেন্ট (অবঃ) মসিউর রহমান লিটন, মহিমা ষ্টোর এ- থ্রি ব্রাদার্সে গিয়ে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করলে টাকা দিতে অস্বীকার করে। তখন এসিল্যান্ডের লোকেরা নিজস্ব তালা ঝুলিয়ে দেয়। মহিমা স্টোরে থাকা কামাল হোসেন রাজু, সুমন এমরান বলেন, টাকা না দেয়ার জন্য এসিল্যান্ড আমাদেরকে গালাগালি পর্যন্ত করেন। নজরুল ষ্টোরের মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, আমার সিসিটিভির ফুটেজ দেখলে বোঝা যাবে। আমার লোকের নিকট থেকে তার লোকেরা পাঁচ হাজার টাকা দাবি করে। ভয়ে দুই হাজার টাকা তার লোকের নিকট আমরা দেয়। টাকা নেয়ার ব্যাপারটি তৎক্ষনাৎ জানাজানি হলে এবং ঝলমলিয়া বাজারের কিছু দোকাদারে চাপে এসিল্যান্ড নিজে এসে তার লোকের মাধ্যমে টাকা ফেরৎ দিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) রুমানা আফরোজ বলেন, আমি কারো নিকট থেকে কোনো প্রকার টাকা নেয়নি। এবং জরিমানা করা হয় নাই।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ওলিউজ্জামান বলেন, রাজশাহী জেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী পুঠিয়ায় শনাক্ত হয়েছে। ওই এলাকাটিকে লকডাউন ঘোষণা করা রয়েছে। হাটবাজারে জনসমাগম হতে না পারে। এবং এলাকার মানুষ সঠিক লকডাউন পালন হচ্ছে কী না, তা দেখার জন্য পাঠানো হয়ে ছিল।