করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে ঘরে থাকার কোনো বিকল্প নেই। তাই অতি প্রয়োজন ছাড়া মানুষকে ঘরের বাইরে না আসার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে রাজশাহীর মোহনপুরে তৎপর রয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন। মোহনপুর উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানিয়ে উপজেলায় মাইকিং করা হচ্ছে। বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর মতো মাঠে রয়েছেন সেনাবাহিনীও। মোহনপুরে প্রথম এক নারী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় প্রতিটি গ্রামে প্রবেশ করার প্রধান রাস্তা বাঁশ দিয়ে লকডাইন ঘোষণা করে অপরিচিত মানুষ যেন গ্রামে প্রবেশ করতে না পারেন সেজন্য সামাজির দূরত্ব বাজায় রেখে গ্রাম পাহারা দিচ্ছেন স্থানীয়রা।
সশ্বস্ত্র বাহিনীর পাশা-পাশি মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানওয়ার হোসেন, সহকারি কমিশনার (ভূমি) জাহিদ বিন কাশেম ও থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক আহম্মেদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দিনরাত মানুষকে ঘরে রাখতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন। যারা অকারণে বাইরে ঘোরাফেরা করছেন তাদের শাস্তির মুখোমুখি করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার জেলা প্রশাসনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে গত প্রায় ২০ দিনে জেলায় ৬০৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এতে ১ হাজার ৩৫৮ জনকে দণ্ড দেয়া হয়েছে। জরিমানা আদায় হয়েছে ৩৪ লাখ ১৪ হাজার ৫০ টাকা। এদিকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে রাজশাহীতে চলছে লকডাউন। তারপরেও ঢাকাণ্ডনারায়ণগঞ্জ থেকে নানা কৌশলে রাজশাহী আসছেন মানুষ। গত কয়েকদিনে জেলার পুঠিয়া, বাগমারা ও মোহনপুর উপজেলায় চারজন করোনা আক্রান্ত রোগি শনাক্ত হয়েছেন। এরপর থেকে প্রশাসন আরও তৎপর হয়েছে।
এসব বিষয় নিয়ে জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বলেন, করোনা থেকে বাঁচতে হলে ঘরে থাকার কোনো বিকল্প নেই। প্রথম দিকে আমরা এটা মানুষকে বুঝিয়েছি। এখন নির্দেশনা অমান্য করলেই শান্তি মুখোমুখি করা হচ্ছে। আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সবাই মিলেই করোনা মোকাবিলা করতে হবে।