করোনার মহামারিতে সারা বিশ্ব যখন অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্থ ঠিক তখন বাংলাদেশও পড়েছে এই দূর্যোগের মধ্যে। করোনা ভাইরাস হতে বাঁচতে বাংলাদেশ সরকার জনসাধারণের চলাফেরা নিষেধাক্কা, দোকানপাট খেলা হতে নির্দিষ্ট সময়ে বন্ধকরাসহ নানান ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। মানুষের স্বাভাবিক কর্মকর্ম ও চলাফেরা করতে পারছে না। ফলে অনেক লোক কর্মহীন হয়ে বেকার হয়ে পড়েছে। আর এসব লোকগুলো সরকারি ত্রাণ না পাওয়ায় ক্ষোভ বড়ছে।
দেশের এই যখন চলমান অবস্থা ঠিক তখন রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পৌর এলাকার সুলতানগঞ্জ বাজারের তসিকুলের মুদি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
মুদি দোকানদার তসিকুল ইসলাম জানান, করোনা সংক্রমনের সময় সরকারের নির্ধারিত সময়ে বিকেল ৫ টার পর দোকান বন্ধ করে বাসায় চলে যায়। এই সময় হতে বাজার জনশূন্য হয়ে পড়ে। শনিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে দোকানে এসে দেখি আমার আমার দোকানের গ্যালরিতে মালামাল ফাঁকা লাগছে। এরইমধ্যে চোখ পড়ে দোকান ঘরের সাইডের টিন কাটা আছে। সেখান দিয়েই চোরেরা মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, প্রায় ৫০ হাজার টাকার মতো বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট, বিস্কুটের প্যাকেট ও টাকা রাখা ডয়ার হতে নগদ অর্থ নিয়ে গেছে। এতে প্রায় ৮০ হাজার টাকা মত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দোকান হতে মালামাল চুরি করে নিয়ে গেলেও চুরির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জমাদি ফেলে গেছে চোর।
এই চুরির ঘটনায় দোকন মালিক থানায় মামলা দায়ের করবে বলে জানান।
শ্রীমন্তপুর গ্রামের আলমগীর হোসেন আদিল বলেন, কিছুদিন আগেই আমার বাসা হতে দুইটি এ্যান্ডয়েড মোবাইল ফোন চুরি হয়ে গেছে। মানুষের কর্ম না থাকায় এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটছে এবং ভবিষ্যতে আরো বাড়বে বলে মনে করেন।
সুলতানগঞ্জ বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জিয়াউল হক জিয়াসহ স্থানীয় লোকজন বলেন, বর্তমান দেশে লকাডাইন সময় চলছে। বাজার ঘাট তেমন খোলা থাকে না। এই সময়ে কিছু মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এলাকার যারা ছুচকে চোর ছিলো তারাও রাজমিন্ত্রীর কাজ করে হলেও পেট চালাতো। বর্তমানে সব কাজ বন্ধ থাকায় এই চুরির ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করেন। এছাড়াও সরকারি ত্রাণ সরকার জনসাধারণকে দিলেও সব কে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না ফলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীকে এসব চুরির বিষয়ে নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এই চুরির ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হবে বলে জানান।