মোল্লাহাটে পূর্ব বিরোধের জেরে পরিকল্পিত উপায়ে প্রতিপক্ষের তিন যুবককে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টাকালে ঠেকাতে গিয়ে মা-বাবাসহ অন্তত ১০জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার উদয়পুর উত্তরকান্দি এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। আহতরা গোপালগঞ্জ ও খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। হত্যাচেষ্টার ওই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
মামলার বিবরন ও ভিকটিম পরিবার সুত্রে প্রকাশ-দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকার মেম্বার মোঃ কামরুল মোল্লা ও মেম্বার পদে পরাজিত মোঃ কামাল মোল্লার দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্য বিরোধ চলে আসছে। ঘটনার দিন ইউপি মেম্বার কামরুল মোল্লার পক্ষের মিলন মোল্লার ছেলে সোহেল ও মান্নাসহ তিন যুবক তাদের বাড়ির কাছে রাস্তায় দাড়িয়ে কথা বলছিলো। ওই সময় কামালের পক্ষে আরমান শরীফের নেতৃত্বে কয়েকটি মটরসাইকেলে গিয়ে ১০/১৫ জনে এলোপাথাড়ীভাবে কোপাতে থাকে তিন যুবককে। তখন ওই তিন যুবকের আতœচিৎকারে তাদের মা-বাবাসহ আপন জনরা উদ্ধারে ছুটে যায়। এরপর তাদেরকেও কুপিয়ে আহত করে হামলাকারীরা। উক্ত ঘটনায় আহতরা হলেন, সোহেল মোল্লা, মান্না মোল্লা, শুকুরন, পেলেন মোল্লা, রেজোয়ান মোল্লা, সবুজ মোল্লা, মুরাদ মোল্লা, ও ইসরাফিল মোল্লাসহ অন্তত ১০ জন।
ওই ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। তাদের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাৎক্ষণিক গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠায় কর্তব্যরত চিকিৎসক। ওই রাত শেষে শুক্রবার সকালে অবস্থার অবনতি হলে গোপালগঞ্জ থেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয় সোহেল ও মান্নাকে।
অপরদিকে/বিপরিতে আরমান শরীফ বলেন-আস্তাইল গ্রামের এক ছেলে ওই এলাকায় বিয়ের জন্য এক বড়ির মেয়ে দেখতে গেছিলো, তখন ওই ছেলেকে অন্যায়ভাবে মারপিট করাসহ তার মটরসাইকেল কুপিয়ে কেটে ফেলে সোহেলরা। এছাড়া সোহেলরা অন্তত ৫/৬ জনকে যখম করেছে। বিষয়টি নিয়ে যা কিছু হয়েছে তা মিমাংসার কথা হওয়ায় তারা চুপ ছিলো, এখন তারাও মামলা করবেন বলে জানান আরমান।
মোল্লাহাট থানা অফিসার ইনচার্জ কাজী গোলাম কবীর বলেন-বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষও জানেন এবং তিনি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।