বরপক্ষের আপ্যায়ন শেষে চলছিল বিয়ে পড়ানোর প্রস্তুতি। কনে অপ্রাপ্তবয়স্ক। এমন সময় সেখানে পুলিশ নিয়ে হাজির হন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে বর ও তাঁর সঙ্গে আসা লোকজন দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে কনের বাবাকে ডেকে বিয়ের আয়োজন প- করে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন মিয়া।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলা উমার ইউনিয়নের চকমহেশ (বড়পকরা) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে লোকসমাগম করে বাল্যবিবাহের আয়োজন করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কনের বাবাকে ৫ পাঁর হাজার টাকা জরিমানা করেন ধামইরহাট উপজেলায় দায়িত্বরত নওগাঁ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শাহীন মিয়া।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, ১৭ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে বড়পুকুর গ্রামের ফেরদৌস হোসেনের স্কুল পড়–য়া মেয়ের সাথে ধামইরহাট ইউনিয়নের মইশড় গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে সৌদিপ্রবাসী আবু সাঈদের (৩০) বিয়ের আয়োজন চলছিল। বরপক্ষের আপ্যায়ন শেষে কাজী বিয়ে পড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ওই আয়োজনে প্রায় দেড় শতাধিক লোক সমবেত হন বিয়ে বাড়ীতে। এমন গোপন খবর পেয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শাহীন মিয়া বড়পুকুর গ্রামে জমায়েতস্থলে হাজির হন। ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে বর আবু সাঈদ ও তাঁর লোকজন বিয়ের আসর থেকে চম্পট দেন।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শাহীন মিয়া বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে ঝূকি নিয়ে মাঠে সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকতে উদ্বুদ্ধ করছি‘একে তো বাল্যবিবাহ, তার ওপর করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে জনসমাগমের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিয়ের মত অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। এ ধরণের বিয়ের আয়োজন বন্ধে প্রশাসনকে খবর দিয়ে স্থানীয় জনগণ প্রশংসনীয় কাজ করেছে।
উল্লেখ্য ধামইরহাট উপজেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শাহীন মিয়া সরকারী আইন অমান্য করে অযথা বাইরে বের হওয়ায় তাদের জরিমানা করেছেন, ১৮ এপ্রিল দুপুর পর্যন্ত ৪ জনের ৯ হাজার ৭শত টাকা জরিমানা করেছেন বিকেলেও মাঠে মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকে বলে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জানান।