করোনা ভাইরাস থেমে দিয়েছে জনজীবন। জীবনের ভয় এর উপর পেটের খিদা। করোনার ভয়কে উপেক্ষা করে কাজের সন্ধান্তে বের হলেও কাজ না থাকায় শুন্য হাতেই ফিরতে হচ্ছে কর্মজীবিদের। বিত্তবানরা ঘরে বন্দি। খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া বের হচ্ছে না তারা। ফলে বিপাকে পড়েছে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষজন। একে করোনার ভয় এর উপর প্রশাসনের সিদ্ধান্ত ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না। দিনের পর দিন অসহায় হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ, বেকার হয়ে পড়া কর্মজীবিরা।
বন্ধ হয়ে গেছে হোটেল, কর্মচারী ও শ্রমিকরা বেকার, হাত পা গুটিয়ে বসে আছে কামার, কুমার। বাসাবাড়িতেও কাজ বন্দ হয়ে গেছে গৃহকর্মীদের। অবশেষে এগিয়ে এসেছে প্রশাসন। দিয়েছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে। বিভিন্ন এলাকার দিনমজুর, কর্মজীবি, ভবঘুরে, খেটে খাওয়া মানুষদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপণা ও ত্রাণ মন্ত্রাণালয়ের পক্ষ থেকে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল হাসান মাহমুদ আলীর দিক নির্দেশনায় এরই ধারাবাহিকতায় ইউনিয়ন ভিত্তিক কামার, সাইকেল মেকারসহ বেকার হয়ে পড়া বেশ কয়েকটি পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আয়েশা সিদ্দীকা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ আহসানুল হক মুকুল ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মনোয়ারুল ইসলামের সমন্বয় কমিটি। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর উপহার ত্রাণ সামগ্রী পেয়ে আনন্দের অশ্রু ফেলেন তারা। ত্রাণ পেয়ে শহিদুল ইসলামসহ অনেকে বলেন ভাবতেই অবাক লাগছে এই দুর্যোগ কালিন সময় সরকার আমাদের মতো গরীদের এত দ্রুত নজর দিয়েছেন, না হলে না খেয়েই থাকতে হতো।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সুত্রে জানা যায় ইতোমধ্যে ১২ ইউনিয়নে প্রথম পর্যায়ে ১৫ মেঃটন চাল ৭৫ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১০ মেঃটন চাল ৪০ হাজার টাকায় ২৫ শত পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল, তৃতীয় পর্যায়ে ২৫ মেঃটন চাল ১ লক্ষ টাকায় ২৫ শত পরিবারকে ৫ কেজি করে চাল, ৪র্থ পর্যায়ে ২৭ টন চাল ১ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকায় ৫৪ শত পরিবারকে ৫ কেজি করে চাল ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে। ৫ম পর্যায়ে ২৪ মেঃটন চাল ও ১ লক্ষ ৮ হাজার টাকা এবং শিশু খাদ্যের জন্য ৭৫ হাজার টাকা এখনও বিতরণের পর্যায়ে রয়েছে। -এছাড়াও প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুদান সংগ্রহ করে আলু, তেল, ডাল বিতরণ করা হচ্ছে।
অপরদিকে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি সুমন দাস ব্যাক্তি ও যুবলীগের উদ্দ্যোগে পুরো উপজেলায় অন্তত ২০ হাজার পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছেন।