বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া (কোভিড-১৯) করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে প্রতিদিন সকাল থেকে রাএী পর্যন্ত সাধারণ মানুষকে ঘরে রাখতে ও সচেতনতার মাধ্যমে ঘরে ফেরাতে, জনগণকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে, অপ্রয়োজনে ঘুরাফেরা ঠেকাতে, জনসমাগম কমাতে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান ব্যতিত অন্যান্য দোকান খোলা ও বন্ধ রাখা সহ সরকারি নির্দেশনা জনগনকে মানাতে কঠোর অবস্থানে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় জনসমাগম এড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা, হাটবাজার বন্ধ রাখাসহ সবাইকে ঘরে থাকতে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক প্রশাসনের নানামুখী পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যায়।
প্রশাসন মাইকিংয়ের মাধমে প্রচারণা চালাচ্ছেন। জরুরি কাজ ছাড়া কেউ যেন অযথা ঘরের বাইরে বের না হন এমনটিই নির্দেশনা দিচ্ছেন তারা। প্রশাসনের পাশে দাঁড়িয়েছেন কর্তব্যরত সাংবাদিকেরা। তারাও প্রশাসনের সাথে ঘর থেকে বের হয়ে আসা সাধারন মানুষদের সচেতন করছেন। পাশাপাশি তারা সচেতনামূলক প্রচার প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়েশা সিদ্দীকার নেতৃত্বে প্রতিদিন সেনাবাহিনী, পুলিশ ও গ্রাম পুলিশের সহযোগিতায় ১২টি ইউনিয়ন, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকাসমূহের মোড়ে মোড়ে সার্বক্ষণিক টহল জোরদার রেখেছেন।
উপজেলা প্রশাসনকে সার্বিকভাবে সহয়োগিতা করে যাচ্ছেন সেনাবাহিনী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইরতিজা হাসান, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) সুব্রত কুমার সরকারসহ এসআই, এএসআইগন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আয়েশা সিদ্দীকা জানান, করোনা ভাইরাসের প্রভাব যাতে অএ এলাকায় না পড়ে সে লক্ষে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী মানুষকে ঘরে রাখার জন্য নানামুখী প্রচার-প্রচারণা সহ ছিন্নমুল অসহায় দরিদ্রের মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণসহ অন্যান্য পদক্ষেপ নিলেও বিভিন্ন অজুহাতে মানুষ বাহিরে এসে যত্রতত্র সংঘবদ্ধ হয়ে আড্ডা করছে, যা মোটেও কাম্য নয়।
তিনি আরও বলেন, ফোন কল, মেসেজ ও মেসেঞ্জারের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সরেজমিনে যাচাইপূর্বক বাড়ি বাড়ি খাদ্য সহায়তা উপহার স্বরুপ প্রেরণ করছি। উপজেলা প্রশাসন আপনাদের পাশে আছে। আপনারা ঘরে নিরাপদে থাকুন, খাবার পৌছে দেব আমরা। ঘরে নিরাপদে থাকুন, নিজেকে, পরিবারকে, সমাজকে ও বাংলাদেশকে নিরাপদ রাখুন।