দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের মধ্যমপাড়া গ্রামে করোনা রোগী শনাক্তের পর গত ১৪ এপ্রিল রাতে ওই গ্রামসহ দুই গ্রামকে লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন।
কিন্তু উপজেলা প্রশাসনের জারিকৃত লকডাউনকে অমান্য করে ওই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ অবাধে গ্রাম ছেড়ে হাটবাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। লকডাউনকে উপেক্ষা করে গত শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সকালে খয়েরবাড়ী বাজারে ঘোরাঘুরির প্রতিবাদ করায় বড় ধরনের সংঘর্ষের হাত থেকে রক্ষাসহ আতঙ্কিত হয়ে পেয়েছেন স্থানীয়রা।
খয়েরবাড়ী বাজারের দায়িত্বপ্রাপ্ত গ্রাম পুলিশ লুৎফর রহমান, গোপাল রবিদাস ও বাপ্পি রবিদাস জানান, গত শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সকালে লকডাউনে থাকা মধ্যমপাড়া গ্রামের ৯ জন লোক তিনটি মোটরসাইকেল যোগে খয়েরবাড়ী বাজারে আসেন। তারা বাজারের বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরির কারণে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে বাজারের পশু চিকিৎসক রাজু আহম্মেদ লকডাউন ভেঙ্গে বাজারে ঘোরাফেরার বিষয়ে প্রতিবাদ করলে ওই ব্যক্তিরা ক্ষিপ্ত হয়ে নিজ গ্রাম থেকে আরও ৪০-৫০ জন লোকজন এনে সংঘর্ষের চেষ্টা করেন বাজারসহ আশপাশের এলাকায় চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে বাজার কমিটি, দায়িত্বরত গ্রামপুলিশসহ স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে ওই লোকজন নিজ গ্রামে ফিরে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোষ্ট মোহন চৌধুরী জানান, করোনায় আক্রান্ত যুবকের নমুনা রিপোর্ট কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ায় ১৫ এপ্রিল উপজেলা প্রশাসন ওই যুবকের নিজ গ্রাম মধ্যমপাড়া ও আবদুল জব্বার চেয়ারম্যানপাড়া এই দুই গ্রাম লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। লকডাউন ঘোষণার মধ্যেই মধ্যমপাড়া গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ নিজ খেয়ালখুশি মতো নিজ গ্রাম ছেড়ে আশপাশের গ্রামসহ হাটবাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এ নিয়ে আশপাশের গ্রামসহ খয়েরবাড়ী বাজার এলাকার বাসিন্দারা চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
খয়েরবাড়ী বাজার কমিটির সভাপতি শিক্ষক এনামুল হক বলেন, লকডাউনের আওতায় থাকা মধ্যমপাড়ার লোকজন যাতে লকডাউন ভেঙ্গে বাজারে না আসেন সেজন্য খয়েরবাড়ী বাজারও লকডাউন করা হয়েছে। এরপরও ওই গ্রামের লোকজন লকডাউন ভেঙ্গে গ্রাম ছেড়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল আজিজ মাস্টার বলেন, লকডাউন অমান্য করে কেউ যেন গ্রাম ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে না পারে সেজন্য স্থানীয়ভাবে পাহারা বসানো হয়েছে।