বিরল পৌর এলাকায় রেশন কার্ডের নামে উৎকোচ আদায় ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা ইউএনও কে জানানোয় এক দোকাদারকে মারপিটে আহত করে দোকান ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এক সংরক্ষিত পৌরকাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী দোকানদার সোহেল রানা।
লিখিত অভিযোগে সোহেল রানা জানান, করোনা পরিস্থিতিতে দুস্থদের মাঝে রেশন কার্ডের জন্য জন প্রতি ১৪০/= করে ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহিদুল ইসলাম ও পৌরসভার ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলর নাছরিন বেগম টাকা আদায় করেন। স্থানীয় সোহেল, শুকুর আলী, সুফিয়া বেগম, সাবিনা ও জুয়েলগণ ১৪০ টাকা প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এলাকার লোকজন উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করলে সহিদুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে সোহেলকে মারপিট করে ও দোকান ভাঙ্চুর করে মালামাল নষ্ট করে প্রায় ১০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে। এ সময় আবদুল খালেক নামের অপর এক ব্যক্তিকেও বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করা হয়। এ অবস্থায় পৌরকাউন্সিলর ও ওয়ার্ড সম্পাদকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে সোহেল রানা রোববার বিরল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এর নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিনাত রহমান অভিযোগ এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, থানার কর্মকর্তা ইনচার্জকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ শেখ নাসিম হাবিব জানান, একজন অফিসারকে বিষয়টি তদন্তের জন্য দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কাউন্সিলর নাছরিন বেগম জানান, যাদেরকে ত্রাণ দিতে পারিনি এরকম কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে বলছে, যা সত্য নয়।
সহিদুল ইসলাম জানান, তালিকায় নাম না থাকা ব্যক্তিরা ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযোগ তুলছে। সোহেল এর সাথে কোন মারামারি হয়নি, সামান্য বাক-বিতন্ডা হয়েছে।