করোনা দূর্যোগের মধ্যেও এলাকার জনসাধারণের পাশে নেই চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বর্তমান ও সাবেক জনপ্রতিনিধিরা। তবে কিছু কিছু জনপ্রতিনিধি ব্যক্তি উদ্যেগে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রায় এক মাস পূর্বে দেশে করোনার প্রার্দূভাবের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের বর্তমান সাংসদ আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, সাবেক সাংসদ জিয়াউর রহমান ও গোলাম মোস্তফা বিশ্বাসকে তাদের নির্বাচনী এলাকা গোমস্তাপুর, নাচোল ও ভোলাহাট উপজেলায় ত্রাণ কার্যক্রমে সরাসরি অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। এদিকে গোমস্তাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ূন রেজা ও ২ ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান নূহ ও মাহফুজা খাতুনকেও এ পর্যন্ত কোথাও ত্রাণ কাজে অংশ নিতে দেখা যায়নি। এ ছাড়া গোমস্তাপুর উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ের ২ জন জন প্রতিনিধির এলাকায় অনুপস্থিতি জন সাধারণের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। জানা গেছে উপজেলার বোয়ালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান আকবর প্রায় তিন মাস যাবত মামলা জনিত কারণে গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন। এ ছাড়া গত ১৩ এপ্রিল কাউকে না জানিয়ে রহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আল শফি আনসারী এলাকা ত্যাগ করে আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছেন। এলাকার জনসাধারণের মাঝে না থাকার বিষয়ে জানতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের বর্তমান সাংসদ আলহাজ্ব আমিনুল ইসলামের সাথে ফোনে যোগাযোগ করে হলে তিনি জানান, জনসমাগম এড়াতে তিনি এলাকায় যাচ্ছেন না। তবে তিনি তার নির্বাচনী এলাকার ৩ টি উপজেলার ১৬ টি ইউনিয়ন ও ২ টি পৌর এলাকার জন্য ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ইতোমধ্যে ৫০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দিয়েছেন। যা এলাকার নেতাকর্মীদের মাধ্যমে দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। অপর দিকে সাবেক সাংসদ জিয়াউর রহমান তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে রোববার (১৯ এপ্রিল) এক স্ট্যাটাসে তিনি এলাকার জনসাধারণের পাশে না দাঁড়াতে পারার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তবে ব্যক্তিগত ভাবে প্রায় ৩ শত জন দুঃস্থকে ত্রাণ প্রদান করেছেন বলে জানান। অপর সাবেক সাংসদ গোলাম মোস্তফা বিশ্বাসকে তার বক্তব্য নেয়ার জন্য ফোন দেয়া হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তিনি ব্যক্তিগতভাবে প্রায় ৩ শত জনকে ত্রাণ দিয়েছেন বলে তার ব্যক্তিগত সহকারী জানান। দূর্যোগের এ মূর্হুতে জনপ্রতিনিধিদের অনুপস্থিতি জনসাধারণের মাঝে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে।