সারাদিন খাটুনি মহাজানের বকুনি কাস্টমারের চোখ রাঙ্গানো সন্ধা শেষে সামান্য কিছু টাকা এদের নাম হোটেল বয় কিংবা শ্রমিক। ডিউটি করলে পয়সা মিলে না করলে মিলে না। দিন হাজিরা এই শ্রমিকরা এখন অসহায় করোনা দিয়েছে যে সারা বিশ্বে হানা। দিনের পর দিন কোরানা রোগী বেড়েই চলছে বাংলাদেশেও। ভয় আর সরকারী সিদ্ধান্ত মতাবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে উপজেলার চা ও হোটেলগুলো। আয় রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে মহাজনের শ্রমিকরা এখন বেকার বন্ধ হয়ে গেছে তাদের রোজগার। দিন খেটে দিনে রোজগার করা হোটের বয় ও শ্রমিকরা এখন হয়ে পড়েছে অসহায়।
নেই কাজ হাতে নেই পয়সা। সময় যাচ্ছে আতঙ্ক বাড়ছে সেই সাথে আয় রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়া হোটেরল শ্রমিকদের চোখে জল ঝরছে। পরিবার পরিজন নিয়ে করছে মানবেতন জীবন যাপন। চারদিকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ শুরু হলেও তাদের ভাগ্যে এখনো জোটেনি কোন সাহায্য। কথা হয় বেলতলী বাজারের হোটেল শ্রমিক নুরুজ্জামানের সাথে। হোটেল বয় ফরিদুল, জিকুসহ অনেকের সাথে কথা হলে তারা বলেন প্রায় ২ সপ্তাহ পার হয়ে গেল বন্ধ রয়েছে চায়ের দোকান ও হোটেল গুলো সেই সাথে বন্ধ হয়ে গেছে আমাদের রোজগার বাড়ি থেকেও বের হতে পারিনা,খুব বিপদে আছি ভাই বউ ছাওয়া নিয়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে প্রায় ৩ শতাধিক এর অধিক চায়ের দোকান ও হোটেলে প্রায় ৬ শতাধিক এর উপর হোটেল বয় ও শ্রমিক কাজ করে। করোনা ভাইরাসের থাবা থেকে বাঁচতে হোটেল গুলো বন্ধ করে দেয়া হলেও বেকার হয়ে পড়া শ্রমিকদের কাছে কিছু শ্রমিক সাহায্য পেলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রমিকের সাহায্য না পৌঁছার ফলে বেশ কিছুদিন থেকে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে সময় পার করছেন বলে জানান শ্রমিক নেতারা। বেলতলী বাজারের হোটেলের মালিক মোহাম্মদ হোসেন বলেন তার দোকানে ৪ জন শ্রমিক দোকান বন্ধ সব আয় বন্ধ হয়ে গেছে শ্রমিকরা বেকার তারা খুব কষ্টে আছে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সুত্রে জানা গেছে, প্রতিটি ইউনিয়নে খাদ্য সংকটে থাকা ব্যাক্তিদের মধ্যে ইতোমধ্যে ৪৪ হাজার জনের তালিকা পাওয়া গেছে, ইউনিয়নের খাদ্য সংকটে থাকা সকল ব্যাক্তিদের তালিকা করতে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের বলা হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে সকলে ত্রাণ দেয়া হবে।