কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ১০নং দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নং ইউনিটের সদস্য হাবিবুর রহমানকে দরিদ্রদের মধ্যে বিতরনের জন্য বরাদ্দকৃত ত্রাণ আত্মসাতের ঘটনায় মামলা হওয়ায় দৌলতপুর থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
মঙ্গলবার সকালে ঐ ইউপি সদস্য কে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সোমবার সন্ধ্যায় ত্রাণ আত্মসাতের অভিযোগ পেলে পুলিশ তদন্ত করে ত্রাণ আত্মসাতের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমানের নামে রবিউল ইসলাম নামে একভুক্তভোগী মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৭। তারিখ ২১ এপ্রিল ২০২০।
জানাযায়, দৌলতপুর উপজেলায় করোনা সংকটে অসহায় ও কর্মহীন পরিবারের মধ্যে বিতরণের জন্য দৌলতপুর ইউনিয়নের ৯নং ইউনিটে ৫০ জন পরিবারের জন্য ৫০ প্যাকেট ত্রাণ বরাদ্দ দেয়া হয়। যার মধ্যে ১০ কেজি চাল, ডাল, আলু ও সাবান বরাদ্ধ ছিল। কিন্তু ওই ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান ৫০ জন পরিবারের মধ্যে ত্রান না দিয়ে নিজস্ব গরু পোষ্যের মধ্যে ১৫ প্যাকেট ত্রান বিতরন করে অবশিষ্ট ৩৫ প্যাকেট ত্রান আত্মসাৎ করেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিষয়টি জানার জন্য দৌলতপুর ইউনিয়নের সংশিষ্ট্র তদারকি কর্মকর্তা উপজেলা বিআরডিবির প্রকল্প কর্মকর্তা রেজাউল করিমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কুমারখালী উপজেলায় তার নিজ বাসায় মোবাইল ফোন রেখে বাইরে ঘুরতে গেছেন বলে তার ছেলে জানান।
দৌলতপুর থানার ওসি আরিফুর রহমান জানান, তালিকাভুক্ত অসহায় দরিদ্র মানুষকে ত্রাণ না দিয়ে আত্মসাতের দায়ে মঙ্গলবার সকালে ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।