নেত্রকোনার দুর্গাপুরে লকডাউন উপেক্ষা করে গণ জমায়েত করে এক ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে ষাঁড়ের লড়াই অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাঁওকান্দিয়া শ্রীপুর গ্রামের ডেংবাড়ি’র সামনে এ লড়াই হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নে র শ্রীপুর গ্রামের ডেংবাড়িস্থ খোলা জায়গায় সাড়ে দশটার দিকে লড়াই শুরু হয়। এ সময় শ্রীপুর গ্রামের সুজন মিয়া ও মুন্সিপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেক এর দুটি ষাঁড়ের লড়াই বাঁধে। এগার টার দিকে একই স্থানে পাশের গ্রামের শহীদ মিয়া ও আনোয়ার হোসেন এর দুটি ষাঁড়ের লড়াই অনুষ্ঠিত হয়েছে। লড়াই চলাকালে খোলা মাঠটি উৎসুক জনতায় কানায় কানায় ভরে যায়। ওই ষাঁড়ের লড়াইয়ের নেতৃত্বে ছিলেন ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম,যুবলীগ নেতা মিলন ও সহোদর ভাই সুজন। হাজারো জনতা দলবদ্ধ হয়ে ওই ষাঁড়ের লড়াই দেখতে জড়ো হয়। একেবারে গাধাগাধি করে সাড়িবদ্ধ হয়ে জনতার সমুদ্রে পরিণত হয়েছে। ইউপি মেম্বর রফিকুল ইসলাম একজন কুখ্যাত জুয়ারী বলে জনমনে পরিচিতি রয়েছে। একই স্থানে পাঁচ দিন পূর্বেও ষাঁড়ের লড়াই হয়েছিলো। বিষয়টি স্থানীয় সচেতন মহল প্রতিবাদ করে। তবে ঐ নিষেধ মানেনি ইউপি সদস্য ও স্থানীয়দের আতঙ্ক ব্যক্তিদ্বয় মৃত: রহমত আলীর পুত্র সুজন, মিলন,শুভ। ওদের অনেকে হুমকীর সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানাগেছে। তবে সুজন,মিলন ওই এলাকার জমি দখল,চাঁদা বাজি,নিরীহ লোকদের নানা ধরণের হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
সারাদেশের মতো করোনা সংক্রমনের কারনে নেত্রকোনা জেলাকে লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে সরকারী বিধি নিষেধ মেনে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান খোলা থাকার কথা রয়েছে। তবে আইন শৃঙ্খলাকে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে ষাঁড়ের লড়াই অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে জনমনে ধ্রুমজালের সৃষ্টি হয়। খোদ ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতিন মোতালেব এ বিষয়ে কিছুই জানেননি। তিনি মুঠোফোনে প্রতিনিধিকে জানান, আমি লোকমুখে খবর পেয়েছি ষাঁড়ের লড়াই হয়েছে। তবে ইউপি মেম্বর এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি হতাশাজনক। অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলামকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটির আয়োজক আমি নই তবে আমি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম। আর অভিযুক্ত সুজন মুঠোফোনে বলেন, আমরা গ্রামের ঘর বন্দি হয়ে থাকতে পাবর না। ষাঁড়ের লড়াই তো বিনোদন দিয়েছি। পারলে আরো বেশি করে লিখেন। তিনি হুংকার দিয়ে বলেন আমি সুজন বলছি ! এ নিয়ে মুঠোফোনে ওসি মিজানুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন ঘটনা জানা ও শুনার ৪০মিনিটের মাথায় অভিযুক্ত মেম্বার রফিককে আটক করা হয়েছে এবং মঙ্গলবার রাতেই নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে সোপর্দ করা হয়। তিনি আরো জানান মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা খানম অভিযুক্ত মেম্বার রফিক’কে ১ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড করেন।