চট্টগ্রাম সিটি রিক্সা শ্রমিকলীগের সভাপতি ও প্রবীণ শ্রমিক নেতা মোহাম্মদ সেলিম বলেছেন, দেশ প্রেমিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক সরকারি ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা এখন সময়ের দাবি। বর্তমানে যেভাবে সরকারি বরাদ্ধকৃত ত্রাণ সামগ্রী লুটপাট হচ্ছে, তা বন্ধ করতে হলে অবশ্যই সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। তা না হলে হতদরিদ্ররা সরকারি কোনো মালামাল পাবেন না। আমি মনে করি সরকার আন্তরিক হলে গরীবের জন্য প্রেরিত এই ত্রাণ সামগ্রী সেনাবাহিনী দিয়ে বিতরণ করলে কোনো সমস্যাই হবেনা। বরং সরকারের জন সমর্থন আরো বেড়ে যাবে। কিছুদিন থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রেরিত গরীবদের জন্য বরাদ্ধকৃত চালের হরিলুট দেখে আমি নিজেই লজ্জিত ও বিস্মিত।
আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি রিক্সা শ্রমিকলীগের (রেজি:২১০৩) উক্ত সভাপতি কর্তৃক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই দাবি জানানো হয়। তিনি জননেত্রী সৈনিকলীগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতিরও দায়িত্বে আছেন। ওই বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আরো উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের পাশে ছিলেন এবং থাকবেন। তিনি দুর্র্নীতিকে কখনো প্রশ্রয় দেননি। অনিয়মও সহ্য করেন না। কিন্তু সরকারের কিছু মন্ত্রী এবং এমপির কর্মকান্ডে সাধারণ মানুষ আজ হতাশ। করোনায় বাংলাদেশে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হার দুটোই বেড়েছে। শুধু জনপ্রতিনিধিদের আন্তরিকতা বাড়েনি একটুকুও। এরা ভোটের সময় এলে জনগণের কাছে ভোট ভিক্ষা চাইতে পারেন। অথচ এই বিপদের মুহুর্তে জনপ্রতিনিধিরা মিডিয়ায় ফটোসেশনে ব্যস্ত রয়েছেন। এলাকায় যাচ্ছেন না।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, আমি দুটি সংগঠনের দায়িত্বে আছি। আমার অধীনস্থ নেতা-কর্মীরা এই পর্যন্ত সরকারি কোনো ত্রাণ সামগ্রী পায়নি। চট্টগ্রাম শহরের ৪১ ওয়ার্ড এবং চট্টগ্রাম বিভাগের ১০ জেলায় আমার গঠিত কমিটির কার্যক্রম চলছে। এই সংগঠনগুলোর হাজার- হাজার দলীয় নেতা-কর্মী এখন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তারা আমার কাছে বার বার অভিযোগ করলেও তাদের জন্য কিছুই করতে পারিনি। আগে আমার রিক্সা গ্যারেজের ব্যবসা ভাল ছিল। এখন প্রতিদিন দুইটি রিক্সাও ভাড়া দিতে পারিনা। যখন আমার কাছে টাকা ছিল; তখন আমি স্বর্ণ বিক্রি করেও দলের জন্য ব্যয় করেছি। বর্তমানে আমার শ্রমিক ভাইদের কষ্ট দেখে আমার চোখের পানি চলে আসে। যারা রিক্সা চালায় তারা রিক্সা নিয়ে রাস্তায় বের হলে পুলিশ বাধা দেয়। রাস্তায় যাত্রী নেই।
এসব কারণে আমার সংগঠনের শ্রমজীবি মানুষগুলো পরিবার নিয়ে চরম কষ্টে সময় অতিবাহিত করছেন। তাই আমি গণতন্ত্রের মানসকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জরুরীভাবে আবেদন জানাচ্ছি যে, সেনাবাহিনীর মাধ্যমে তালিকা করে প্রকৃত গরীব মানুষদের মাঝে সরকারি ত্রাণ সামগ্রী সুষ্ঠুভাবে বন্টন করার জন্য। একই সঙ্গে মাননীয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও মাননীয় সিটি মেয়রের কাছে এই ব্যাপারে সুদৃষ্টি কামনা করছি। প্রয়োজনে আমার ব্যবহৃত (০১৮২৩-৫৩৫৩১২ নাম্বার) মোবাইলে আমার সাথে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যোগাযোগ করতে পারেন। তাহলে আমি সঠিক তথ্য দিয়ে সরকারি এই মহৎ কাজে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছি।