]গলাচিপায় লকডাউনের মধ্যে অবাধে চলছে যানবাহন যাতায়েত করছে সাধারন মানুষ। স্বাস্থ্য বিধি তো দূরের কথা নিজের নিরাপত্তা নিয়েও ভাবছেন কেউ। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন এলাকার সচেতন মহল। আর এ সমস্য থেকে পরিত্রাণ পেতে গলাচিপার রতনদী তালতলী ইউনিয়নের উলানিয়া এলাকার শতাধিক মানুষ উপজেলা নির্বাহীসারের বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেছেন। এলাকাবাসীর পক্ষে আবেদনটি করেছেন উপজেলার রতনদী তালতলী ইউনিয়ননের আরিফুজ্জামান আরিফ।
আরিফুজ্জামান আরিফ জানান, কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব ইতিমধ্যে পটুয়াখালী জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলার গলাচিপা উপজেলার পাশ্ববর্তী উপজেলা দশমিনা ও রাঙ্গাবালীতে করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হয়েছে। আর সকল রোগী শনাক্ত হওয়ার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত এলাকার বিভিন্ন জায়গায় অবাধে আড্ডাবাজ ব্যক্তিরা ঘোরাফেরা করেছেন বলে জানাগেছে। আর এতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকার লোকজন। কিন্তু এলাকার বেশির ভাগ লোকই জেলা প্রশাসন কর্তৃক ঘোষিত লকডাউন (অবরুদ্ধ) মানছেন না। ফলে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি বেড়েই চলছে। আর এলাকার এক ধরণের অসচেতন মানুষ কোন বিবেচনা না করেই অপ্রয়োজনে বিভিন্ন হাটবাজারে ঘোরাফেরা করছেন।
উলানিয়া-রণগেপালদি ব্রিজ, উলানিয়া-রণগেপালদি খেয়া, তুলতলী-দক্ষিণ রনগেপালদী খেয়া, সুতাবাড়িা-ডাকুয়া খেয়া, ডাকুয়া-চিকনিকান্দি ব্রিজ, বোয়ালিয়া-ছোটবাইশদিয়া খেয়াঘাট দিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ অবাধে যাতায়েত করছে। এছাড়া সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এসব এলাকায় চায়ের দোকানগুলোতে স্বাস্থ্য বিধি না মেনে চলে আড্ডা। এসকল এলাকায় পুলিশ ও প্রশাসনের চেক পোস্ট থাকলে ঝুঁকি কিছুটা হলেও কমবে।
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাহ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, লক ািউন কার্যকর করার জন্য এলাকাগুলো চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।