পঞ্চগড়ে এক নারীর (১৭ এপ্রিল) করোনা সংক্রমণ পজেটিভ ফলাফল আসার পরদিন ১৮ এপ্রিল থেকে পঞ্চগড় জেলাকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য লকডাউন ঘোঘণা করা হয়। এর তিনদিন পর (২১ এপ্রিল) একই উপজেলায় আরো এক নারীর করোনা সংক্রমণ পজেটিভ ফলাফলের খবরে আরো শক্ত অবস্থান নেয় প্রশাসন। তবে লকডাউন ঘোষণার আজ ৬ষ্ঠ দিনেও কিছু মানুষের মাঝে এখনও সচেতনতার ছিটেফোঁটা পড়েনি। প্রশাসনের পাশাপাশি আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল ও তৎপরতা জোরদার করা হলেও সামাজিক দূরত্ব মানছে না অনেক সাধারন মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ৬ শত ২২ জন অবস্থান করছেন। তেঁতুলিয়ায় ভারত থেকে প্রত্যাগত ২০ জন, দেবীগঞ্জ উপজেলায় ১১ জন সহ মোট ৩১ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে এবং ১ জন আইসোলেশনে আছেন। আজ প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন থেকে ১৯ জন এবং হোম কোয়ারেন্টাইন থেকে ৭৬ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন। জেলায় করোনা আক্রান্ত দু’জনই নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা শহরের প্রধান সড়ক ও কাঁচা বাজারে মানুষের ভিড় দেখা যায়। আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সাধারন মানুষের মাঝে সামাজিক দূরত্ব মানতে সচেতন করলেও সাময়িক ভাবে মানুষ তা মানলেও তারা চলে যাওয়ার পর মানুষ আবার একই জায়গা সনমাগম ও আড্ডা দেয় তবে বিকালের পর থেকে মানুষের সমাগম হ্রাস পেতে শুরু করে।
পঞ্চগড় সিভিল সার্জন ডা. ফজলুর রহমান জানান, পঞ্চগড়ে গতকাল ও আজ মিলে ২শত ৩৫ জনের নমুনা পাঠানো হয়। এরমধ্যে ১শত ৮৮ জনের ফলাফল (নেগেটিভ) এসেছে। বাকী ৪৭ টি ফলাফল পেন্ডিং রয়েছে।