করোনা ভাইরাস দুর্যোগের সময় আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য একটি চক্র গুজব ছড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ও গত বুধবার রাতে বিভিন্ন এলাকায় মসজিদে মসজিদে মাইকে গুজব ছড়িয়ে ডাকাত আতঙ্ক সৃষ্টি করা হয়েছে। কয়েকটি এলাকায় ডাকাত সন্দেহে যানবাহন থামিয়ে যাত্রীদের মারপিট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে থানা পুলিশ সূত্রে ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে চুরি বা ডাকাতির কোনো ঘটনা ঘটেনি। দুর্যোগের সময় গুজব ছড়িয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করার হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ও বুধবার রাত সাড়ে ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত হঠাৎ করেই বিভিন্ন এলাকার মসজিদে মসজিদে ঘোষণা আসছে, 'আপনারা সাবধান হন', 'ডাকাত হামলার করেছে'। ঘাটাইল পৌরসভা, দিঘলকান্দ, দীঘর, ধলাপাড়া, সাগরদিঘী, জোড়দিঘী, গারোবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ডাকাত হামলা করেছে এমন গুজব ছড়িয়ে পরে। ডাক্তারদের পিপিই পরে এবং পুলিশের পোষাক পরে ডাকাত দলের সদস্যরা বিভিন্ন বাসা বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা করছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে আতঙ্কিত লোকজন গণমাধ্যম কর্মী, পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনকে ফোনে ঘটনা জানাতে থাকেন। অনেকে ফেসবুকে ডাকাত আতঙ্কের খবরটিও ভাইরাল করে দেন। ফলে ডাকাত আতঙ্কে গত দুই দিন ধরে নির্ঘুম রাত কাটছে ঘাটাইলবাসীর।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি মেম্বারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোথাও কোনো ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। ধলাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিঠু ভূইয়া বলেন, এই দুর্যোগের সময় একটি চক্র ডাকাত আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য এই গুজব ছড়িয়েছে।
সাগরদিঘী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের উপপরিদর্শক (এস আই) সোয়েব জানান, বিভিন্ন এলাকা থেকে রাতে এ ধরনের খবর তাদের কাছেও এসেছিল। সারা রাত টহলে ছিলাম। কিন্তু কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।
দিগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, মসজিদের মাইকে শুনতে পাই এলাকায় ডাকাত পড়েছে। কিন্তু খোঁজ খবর নিয়ে কোথাও ডাকাতের সত্যতা পাওয়া যায়নি। এটা সম্পর্ণ গুজব।
ঘাটাইল থানার অফিসার্স ইনচার্জ(ওসি) মাকছুদুল আলম বলেন, মাইকিং শুনে বিভিন্ন এলাকায় টহল পুলিশ নিয়ে বের হয়ে টহল জোরদার করেছি। কোথাও ডাকাতি ঘটনার সত্যতা পাইনি।