নওগাঁর ধামইরহাটে নদীর তীরবর্তী চকনোটি মৌজার ছিলিমপুর গ্রামে পাশে আত্রাই নদী। বিভিন্ন দুর্যোগে ও বান বন্যায় নদী ভাঙ্গনে অনেক পতিত জমি নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে সৃষ্ট বন্যায় ওই এলাকার রাঙ্গামাটি, ছিলিমপুর, নন্দনপুর, বস্তাবর সহ নদী সংলগ্ন এলাকার মানুষ গুরুত্বর কষ্ট ভোগ করে।
নদী তীরবর্তী ওই স্থানে বরিশষ্য চাষাবাদের জন্য সরকারী খাস জমি পত্তন গ্রহণ করে স্থানীয় উদয়শ্রী বেড়ীতলা গ্রামের মৃত খইমুদ্দিনের ছেলে জামাল উদ্দিন। তিনি ওই জমিতে চাষাবাদের পরিবর্তে অবৈধভাবে জমিটি নিজের দাবী করে করছেন খনন কাজ। টাকার বিনিময়ে নদীর পারে অবস্থিত ওইসব সরকারী খাস জমিতে বনবিভাগের রোপিত গাছের ক্ষতি করে, বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি করে অতিলোভে অবৈধভাবে বালি-মাটি উত্তোলন করছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
এ বিষয়ে জামাল উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে কথা বলা হলে তিনি ঘটনাস্থলে আসতে অস্বীকার করে বলেন, ‘জমিটি আমার বাপের জমি, আপনারা ছবি তুলে কি করবেন করেন, যত রিপোর্ট- আছে করেন, তাতে আমার কোন সমস্যা নেই।”
একই কায়দায় ছিলিমপুর গ্রামের মৃত ইব্রাহীমের ছেলে মানিক হোসেন বিভিন্ন জায়গা ক্ষতি করে গভীর গর্ত করে মাটি-বালি খনন করে অবৈধ উপার্জন করছেন। এই খনন অব্যাহত থাকলে ওই এলাকার শত শত ঘরবাড়ী ও জমির অপূরনীয় ক্ষতি সাধিত হবে।
স্থানীয় ছিলিমপুর গ্রামের বাশু শেখের ছেলে কাশেম আলী ও নন্দনপুর গ্রামের ইব্রাহীমের ছেলে দইমদ্দিন সহ অন্যান্য গ্রামবাসীরা অভিযোগ করে বলেন, জামাল তার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে বালি-মাটি উত্তোলন করতে থাকলে আসন্ন বর্ষাকালে নদীর স্রােতের পানি চাষাবাদের জমিতে প্রবেশ করে ব্যাপক ফসলের ক্ষতি ও নদীর পানিতে বাড়ীঘরের অপূরনীয় ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলা বনবিট কর্মকর্তা আবদুল মান্নান বলেন, ‘পতিত ও ই জমিতে সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে গাছ রোপন করা হয়েছে, সেখানে উপকারভোগীরা তা পরিচর্যা ও দেখভাল করে, কিন্তু যেভাবে সেখানে গভীর গর্ত করে খনন কাজ চালাচ্ছে, তাতে মারাত্বক ক্ষতির সম্মুখীন হবে বনবিভাগ ও ওই এলাকার সাধারণ মানুষ, বনবিভাগ এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গনপতি রায় বলেন, ‘আমি সেখানে তদন্তের জন্য প্রতিনিধি পাঠাচ্ছি, বনবিভাগ বা সরকারী সম্পত্তির ক্ষতি হলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’