বোরো ধান কাঁটার জন্য নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষি শ্রমিক পাঠাচ্ছেন থানা পুলিশ। চিকিৎসকের ফিটনেস ছাড়পত্রসহ বুধবার থেকে বিশেষ ব্যবস্থায় শ্রমিক পাঠানো শুরু হয়েছে। তবে করোনা সনাক্তে থানায় রক্ত পরীক্ষার কথা শুনে শ্রমিকরা আগ্রহ হারিয়েছেন। পুলিশের দাবি শ্রকিদের রক্ত পরীক্ষার বিষয়টি নিয়ে কেউ বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।
থানা সূত্রে জানা যায়, করোনায় লকডাউনের কারণে বিভিন্ন অঞ্চলের বোরো চাষিরা যখন শ্রমিক সংকটে ভুগছেন। সেই মুহূর্তে থানা পুলিশ কিশোরগঞ্জ থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষি শ্রমিক পাঠানো শুরু করেছেন। বুধবার সন্ধায় কুমিল্লা ও গাজিপুরের উদ্দেশ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় বাসে করে প্রায় ১শ’জন শ্রমিক রওনা দিয়েছেন। আরো কয়েকশ’ শ্রমিককে তাদের পরিচিত কাজের এলাকায় পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। আগ্রহী শ্রমিকদেরকে থানায় নামের তালিকা দেয়ার জন্য বিশেষভাবে আহ্Ÿান জানানো হয়েছে। কাজে যেতে ইচ্ছুক শ্রমিকদের করোনা ভাইরাসের জন্য কোন রক্ত পরীক্ষা নয়। চিকিৎসকের মাধ্যমে শারীরিক ফিটনেস যাচাই সাপেক্ষে তাদের পছন্দের এলাকায় পাঠানো হচ্ছে। তবে বাজেডুমরিয়া গ্রামের শ্রমিক আবদুল মালেক, মিঠু মিয়া ও বাউ জানান, আমরা কয়েক পাড়ার প্রায় ৩০/৪০ জনের একটি দল ধান কাটা কাজের জন্য যেতে চাচ্ছিলাম। কিন্তু করোনার জন্য থানায় রক্ত পরীক্ষার কথা শুনে অনেকে আর যেতে চাচ্ছেনা। চরম অভাবের মাঝে একারণে আমাদেরও ধান কাঁটার কাজের জন্য বাইরে যাওয়া হচ্ছেনা। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ শফি মাহমুদ জানান, রক্ত পরীক্ষা নয়, তাদের হিস্ট্রি, করোনার উপসর্গ ও শারীরিক ফিটনেস দেখে শ্রমিকদেরকে কাজে যাওয়ার প্রত্যয়ন দেয়া হচ্ছে। কিশোরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজুল হক কৃষি শ্রমিক পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শ্রমিকরা থানার মাধ্যমে ছাড়পত্র নিয়ে কাজে যাওয়ায় নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক মনে করছেন। করোনা পরিস্থিতির বিষয়ে তাদেরকে সতর্কতা অবলম্ভনের জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হয়েছে।