রংপুরে মহামারি করোনাকে পুঁজি করে রমজানের শুরুতেই আদা-রসুনের দাম বাড়িয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এক দিনের ব্যবধানে কেজিতে ১৫ টাকা করে দামি বেশি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বাজার মনিটরিং করে দাম বেশি নেয়ার প্রমাণ পাওয়ায় বেশ ক'জন পাইকারি ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
শুক্রবার দুপুরে রংপুর সিটি কাঁচা বাজারে আকস্মিক অভিযান চালায় ভোক্তা অধিকার অধিদফতর। এ সময় ক্রেতাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ভোক্তা আইনে আদা-রসুন ও পেঁয়াজ বিক্রেতাসহ বেশ কয়েক জনকে জরিমানা করা হয়।
ক্রেতাদের অভিযোগ, করোনা দুর্যোগ শুরু থেকেই বাজারে নিত্যপণ্যের দাম একটু চড়া। তার মধ্যে রমজান শুরু হতে না হতেই এখন পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের বাড়তি দাম নেয়া হচ্ছে। এক দিনের ব্যবধানে সিটি বাজারে পেঁয়াজসহ আদা, রসুন ও আলুতে কেজি প্রতি ৫ থেকে ১৫ টাকা দাম বেড়েছে। এদিকে ব্যবসায়ীরা এসব পণ্যের দাম বাড়ালে উপযুক্ত কারণ ও পণ্য ক্রয়ের মূল রশিদ দেখাতে না পারায় তাদের বেশ ক'জনকে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
এব্যাপারে ভোক্তা অধিদফতরের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলাম বলেন, সোহেল ট্রেডার্স নামে এক পাইকারি ব্যবসায়ী পেঁয়াজের দাম এক দিনেই কেজিতে ১৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। গতকালও তিনি ৪৪ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন। আজ বিক্রি করছিলেন ৫৯ টাকায়। তার কাছে বাড়তি দামের কেনার রশিদ দেখতে চাইলে উনি তা দেখাতে পারেননি। এ অপরাধে তার প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্য আরেকটি প্রতিষ্ঠানকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। দাম বেশি নেয়ার ব্যাপারে অন্য ব্যবসায়ীদেরও সতর্ক করা হযেেছ। এরপরও যদি কারো বিরুদ্ধে বাড়তি দাম নেয়ার অভিযোগের প্রমাণ মেলে তাহলে তাদের দোকান বা প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেয়া হবে।