রংপুর অঞ্চলে মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য চালু করা হয়েছে ‘ফুড ব্যাংক’। ত্রাণ সহায়তা বঞ্চিত বা না খেয়ে থেকেও যারা ত্রাণের জন্য রাস্তায় ঘুরবে না ফুড ব্যাংক তাদের সহযোগিতা করবে।
দেশ ও দেশের বাহিরে অবস্থানরত রংপুরবাসীর উদ্যোগে রংপুরিয়ান ফুড ব্যাংক এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীদের সমন্বয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে। ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক রংপুর শাখায় খোলা হয়েছে ব্যাংক এ্যকাউন্ট।
বিশ্বজুড়ে সৃষ্ট সংকটময় এই পরিস্থিতিতে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের পাশে দাঁড়ানো এখন জরুরী। ফুড ব্যাংকের মাধ্যমে এক সপ্তাহের প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী দেয়া হবে। এজন্য একেকটি প্যাকেটে খরচ দাঁড়াবে ১২০০ টাকা।
করোনাকালে এ ধরণের ফুড ব্যাংক গড়তে উদ্যোগ নেয় লন্ডন প্রবাসী শাহিন আলম। দেশের বাহিরে থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে রংপুরের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ও প্রবাসে থাকা রংপুরিয়ানদের সাথে আলোচনা করে করোনা মোকাবিলায় ফুড ব্যাংক চালু করেছেন বলে তিনি জানান।
প্রবাসী যুবক শাহিন আলম বলেন, আমরা সবাই একটি সংকটময় সময় অতিক্রম করছি। যারা দেশের বাহিরে আছি আমরাও এক ধরনের সংকটের মধ্যে আছি। কিন্তু আমাদের দেশের পরিস্থিতি আরোও ভয়াবহ। এই বৈশ্বিক মহামারিতে যে যার মতো করে কাছের মানুষদের সহায়তা করে করছে। কিন্তু সমাজে এমন কিছু নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষ আছে যারা ত্রাণ পায় না। না খেয়ে থাকলেও কারো কাছে কিছু চাইবে না। এসব মানুষদের জন্য ফুড ব্যাংক প্রয়াস।
লন্ডন ইউকে রংপুর জেলা সমিতির সভাপতি শাহিন আলম আরও বলেন, দেশ ও দেশের বাহিরে থাকা বৃহত্তর রংপুর এর সমস্ত রংপুরিয়ানদের সম্মিলিত করতে এবং একে অপরের পাশে দাঁড়াতে আমাদের রংপুরিয়ান নামে একটি প্লাটফর্ম রয়েছে। সেই প্লাটফর্ম থেকে ফুড ব্যাংকের জন্য যে যার মতো করে সহযোগিতা করছে। বিত্তবান সকলকে করোনা দুর্যোগে ফুড ব্যাংক এ্যকাউন্টে সহায়তার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
ফুড ব্যাংক এর ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামি ব্যাংক রংপুর শাখায় একটি যৌথ এ্যকাউন্ট চালু রয়েছে। হিসাবের নাম: মো. মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও মো. শাহজাহান মিয়া। ব্যাংক হিসাব নম্বর: ০১০৯১২২০০০২৮৬৮০। এছাড়াও বিকাশ (০১৭১৬৭৬৭০২৪), নগদ (০১৭১৬৭৬৭০২৪), রকেট (০১৭১৬৭৬৭০২৪১) এবং SWIFT: FSEBBDDH যে কেউ ফুড ব্যাংকের জন্য আর্থিক সহায়তা পাঠাতে পারবেন।