রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় শনিবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে আরও ১৮৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া এই বিভাগে নতুন করে ৬ জন সহ এ পর্যন্ত ৭৫ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ৮৬ জনকে নিবির আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে রংপুরে ১৮ জন, এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে ৬ জন। পঞ্চগড়ে ৩ জন, নীলফামারীতে ১০ জনের মধ্যে ৯ জন হাসপাতালে চিকিৎসারত, লালমনিরহাটে ২ জনের সবাই হাসপাতালে আছেন, কুড়িগ্রামে ৬ জন এরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে, ঠাকুরগাঁয় ৭ জনের মধ্যে ৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, দিনাজপুরে ১৩ জন রোগী সনাক্ত হয়েছে এবং গাইবান্ধাায় ১৬ জন রোগীর মধ্যে ১৩ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাক্তার আমিন আহমেদ খান স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে গতকাল জানানো হয়েছে। নতুন করোনা ভাইরাস আক্রান্ত আশংকায় হোম কোয়ারেন্টাইনের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুরে ৫৭, পঞ্চগড়ে ১৮, নীলফামারীতে ৪৭, কুড়িগ্রামে ১৫, ঠাকুরগাঁয় ৩, দিনাজপুরে ৫, গাইবান্ধায় ১০, জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ সময়ে, লালমনিরহাট জেলায় কাউকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়নি। গতকাল ২৫ শে এপ্রিল শনিবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত এ নিয়ে রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁঁিড়য়েছে ২২ হাজার ২ শ ২৮ জনে।রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার পর্যন্ত রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় ১০ হাজার ৪১৮ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। বর্তমানে এই বিভাগে হোম কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান করছে ১১ হাজার ৮১০ জন। এ ছাড়া আইসোলেশনে নিবির পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে রংপুরে ১৫ জন, পঞ্চগড়ে ৪, নীলফামারীতে ১৭, লালমনিরহাটে ২, কুড়িগ্রামে ৬, ঠাকুরগাঁয় ১২, দিনাজপুরে ১৩ এবং গাইবান্ধা জেলায় ১৭ জন সহ এই বিভাগে মোট ৮৬ জনকে।বর্তমানে রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১১ হাজার ৮১০ জন। এর মধ্যে রংপুরে ৬৩৭, পঞ্চগড়ে ৩৯৯, নীলফামারীতে ৫ হাজর ১৯৮, লালমনিরহাটে ২৮৬, কুড়িগ্রামে ৪১৪, ঠাকুরগাঁও জেলায় ৩০৭ জন, দিনাজপুরে ২ হাজার ২৯৫ জন এবং গাইবান্ধায় জেলায় ২ হাজার ২৭৪ জন সহ মোট ১১ হাজার ৮১০ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিরা সুস্থ্য রয়েছেন।এদিকে শুক্রবার বিকেলে পাওয়া রির্পোট অনুযায়ী রংপুরে ৩ জন সহ বিভাগের ৩ জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৬ জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে রংপুর মেডিকেল কলেজের পিসিাার করোনা ল্যাবে পরীক্ষার পর এসব আক্রান্তদের সনাক্ত করা হয়েছে। রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার একেএম নুরুন্নবী লাইজু বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এখানে গত ২৪ ঘন্টায় ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩ জেলায় ৬ জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রংপুর জেলায় ৩ জনের মধ্যে মহানগরীরই ৩ জন। এরা হচ্ছেন নগরীর আমাশু কুকরুল এলাকার ৫৫ বছর বয়সী একজন নারী, হাবিব নগর আকালি টারীর এলাকার একজন ৩০ বছর বয়সী পুরুষ এবং উত্তর বাবুখাঁ এলাকার ৩০ বছর বয়সী একজন পুরুষ। এরা সবাই সোণালী ব্যাংক রংপুর মহিলা (বাজার) শাখার কর্মকর্তা বলে জানা গেছে। এ ছাড়া কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ৩০ বছর বয়সী একজন পুরুষ, গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ২৯ বছর বয়সী একজন যুবক এবং পলাশবাড়ী উপজেলার ২৫ বছর বয়সী একজন যুবক রয়েছেন।রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাক্তার একেএম নুরুন্নবী লাইজু জানান, গত ২ রা এপ্রিল রংপুর মেডিকেল কলেজের মাইক্রো বায়োলজি বিভাগে পিসিাার করোনা ল্যাব স্থাপনের পর গত ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ২০ ধাপে এখানে ২ হাজার ১৩৩ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৭০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের নমুনা সনাক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকায় আইইডিসিাার থেকে আরও ৬ জনের নমুনা সনাক্ত করা হয়। এ নিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত রংপুর বিভাগে মোট ৭৬ জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া গাইবান্ধায় ৪ জন এবং রংপুর, ঠাকুরগাঁও এবং নীলফামারীতে ১ জন করে করোনা রোগী এ পর্যন্ত সুস্থ্য হয়েছেন বলে ঐ সূত্র জানিয়েছে। রংপুরের সিভিল সার্জন জানান, রংপুর জেলার আক্রান্ত ১৮ জনের মধ্যে ২জন ডাক্তার সহ স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত ৭ জন এবং সোণালী ব্যাংকের ৪ কর্মকর্তা রয়েছেন।