যশোরের কেশবপুরে ইরি বোরো আবদের বাম্পার ফলন হলেও কাল বৈশাখির হানা ও বৃষ্টিপাতে কৃষকরা পড়েছেন বিপাকে। ধান কাটাতে করোনা ভাইরাসের কারণে একদিকে শ্রমিক সংকট,তার উপর কালো মেঘে কৃষকের মন ভারী হয়ে উঠছে। এ উপজেলার মানুষের একমাত্র ফসল ইরি বোরো আবাদ। ফসল ঘরে তুলতে না পারলে বছরের ঘাটতিসহ জীবন বাচানো দুষ্কর হয়ে পড়বে।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্র জানায়, এ মৌসুমে ১৫ হাজার হেক্টর জমি ইরি বোরো আবাদের লক্ষমাত্রা ধরা হলেও কিছু কিছু বিলের পানি নিষ্কাশনের অভাবে এবার ১৩ হাজার ৩শ ৫০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে। ধানের বাম্পার ফলন হলেও করোনা ভাইরাসের কারণে কৃষকরা একদিকে রয়েছেন শ্রমিক সঙ্কটে অপর দিকে কাল বৈশাখির হানায় মহা দুঃশ্চিন্তা যেনো পিছ ছাড়ছে না তাদের। শুক্র ও শনিবারের কাল বৈশাখির সাথে ভারী বৃষ্টিতে অনেকে ধান কাটলেও সে ধান বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ায় কৃষকদের চিন্তার শেষ নেই। পাঁজিয়া গ্রামের বর্গা চাষী কৃষক ইসমাইল খা জানান, তিনি আকাশ পরিষ্কার দেখে ২৬ শতক জমির ধান কেটেছেন ,সে ধান এখন পানিতে ভাসছে। সুমন চক্রবর্ত্তী জানান, আকাশের ঘোলা না কাটলে তিনি ধান কাটতে পারছেন না। ঝড়ে ধান শুয়ে গেছে। এ ভাবে থাকলে ধান ঘওে উঠানো কষ্টকর। বিশ্বদেব চক্রবর্ত্তী জানান, তিনি সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা করে আজ রোববার ধান কাটতে শুরু করেছেন। বেতীখোলা গ্রামের বর্গা চাষী নজরুল মোল্যা জানয়, কষ্টের ধান উৎপাদন ভালো হলেও ধান কেটে বাড়ি না আনা পর্যন্ত ভরসা রাখতে পারছিনা। একদিকে শ্রমিক সঙ্কট অপর দিকে ধান কেটে ঘওে তোলার দুঃশ্চিন্তা তাড়িয়ে ফিরছে কৃষকদের। মজিদপুর গ্রামের কৃষক শামসুর রহমান, মধ্যকুল গ্রামের শাহীনুর রহমান, বাগদাহ গ্রামের মশিয়ার রহমান জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে একদিকে ধান কাটা শ্রমিকের অভাব তার উপর কাল বৈশাখীর হানা কৃষকদের চিন্তা গ্রস্থ করে তুলেছে। এ দিকে শ্রমিক সঙ্কট কাটাতে কৃষকদের পাশে এস দাঁড়িয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। দপ্তর থেকে নোটিশের মাদ্যমে জানান দেযা হয়েছে, কোন কৃষক শ্রমিকের অভাবে ধান কাটতে না পারলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।