পিরোজপুরের নাজিরপুরে রমজানের শুরুতেই চাল, ডাল সবজিসহ নিত্য প্রয়জোনীয় পণ্যের বাজারে আগুন লেগেছে। এরইমধ্যে করোনার এই সংকটে রমজানকে ঘিরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশ চুম্বি। জিনিসের দাম বৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। বিক্রেতাদের দাবি, করোনায় পণ্য পরিবহন সংকটে দাম বেড়েছে। জানা গেছে, কেজিতে অন্তত ১০-২০ টাকা বেড়েছে ডালের দাম। আদার কেজি সাড়ে তিন’শত। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে তেল, চিনি ও ছোলা। কাঁচাবাজারে বেগুন আর শসার দামও বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। গত ২৫ এপ্রিল শনিবার নাজিরপুর সদর ও বাবুরহাট এবং দিগীরজান সাপ্তাহিক বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে ছোলার দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকার বেশি। ৭০ টাকার ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়। মসুর ডাল ১২০ থেকে ১২৫ টাকায়। চিনির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা। বোতলজাত তেলের দাম ঠিক থাকলেও বেড়েছে খোলা সয়াবিনের দাম। ২০ টাকার শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। আর বেগুণের দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা। তবে স্বাভাবিক রয়েছে মাছ, মাংস ও ডিমের দাম। মজুদ থাকলেও করোনার অজুহাতে চাহিদা অনুযায়ী পণ্য পাচ্ছেন না-অভিযোগ খুচরা বিক্রেতাদের। পাইকারি পর্যায়ে বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে পণ্য। মসলা জাতীয় পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে আদার দাম। বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি। বেড়েছে পেয়াজ রসুন ও আলুর সহ মসলার দাম। নাজিরপুর উপজেলা মানবাধিকার সভাপতি আতিয়ার রহমান চৌধুরী(নান্নু) বলেন, এক শেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে নানা অজুহাতে কৃতিম সংকট তৈরী করে সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য অসাভাবিক হারে বৃদ্ধি করেছে। তাছাড়া সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সরকার নির্ধারিত মূল্যে তালিকা থাকার কথা থাকলেও কোথাও তা দেখা যাচ্ছে না। আমি মনে করি প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া জরুরী। এ ব্যাপারে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। যে সকল ব্যবসায়ী নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশী দামে পণ্য বিক্রি করছে, তাদের ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হচ্ছে। এ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তার পরেও সুনিদিষ্ট অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।