বাংলামদ (চোলাইমদ) ও স্পিরিট বেচাকেনা সিন্ডিকেটের মাহমুদুল হাসানসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় পুলিশ মাড়-য়াড়ী মন্দির পতিতালয়ের সামনে ১ নং হাটখোলা রোডের হাসানের মদের দোকানে ও জেল খানার কাঠেরপুল জনৈক কাজলের বাড়ির ভাড়াটিয়া রফিকুল ইসলাম ওরফে কৃষ্ণর ঘরে অভিযান চালিয়ে বাংলা মদ (চোলাইমদ) উদ্ধার করেছে।
মদ উদ্ধার ও বাংলা মদ খেয়ে ফজলুর রহমান চুক্কি এবং শরিফ উদ্দিন মুন্না মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে চারটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ শনিবার বিকেলে মাহমুদুল হাসানকে লাল দিঘীর পশ্চিম পাড় থেকে গ্রেফতার করেছে।
কোতয়ালি মডেল থানার এসআই হারুণ অর রশিদ জানান, শনিবার বিকেলে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শহরের মাড়-য়াড়ী মন্দির পতিতালয়ের সামনে ১ নং হাট খোলা রোডস্থ মাহমুদুল হাসানের মদের দোকানে অভিযান চালায়। এ সময় ওই দোকান হতে ১শ’ মিলি লিটার বাংলা মদ উদ্ধার করে। তার আগে মাহমুদুল হাসানকে লাল দিঘীর পশ্চিম পাড় থেকে মাহমুদুল হাসানকে গ্রেফতার করে।
সদর পুলিশ ফাঁড়ির এসআই কাইয়ূম মুন্সী জানান, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার দিবাগত গভীর রাত সাড়ে ১২ টায় শহরের জেলখানার মোড় কাঠেরপুল জনৈক কাজলের বাড়ির ভাড়াটিয়া রফিকুল ইসলাম ওরফে কৃষ্ণর বাড়িতে অভিযান চালায়। কৃষ্ণ পালিয়ে গেলেও তার ঘর হতে ১০ লিটারের বেশী বাংলামদ (চোলাইমদ) উদ্ধার করে। ওই মদ বেচাকেনার সাথে জড়িত শহরের মাইকপট্টি (নিরালা পট্টি নোভা ক্লিনিকের পার্শ্বে আনোয়ার হোসেনের ছেলে মাহমুদুল হাসান ও শহরের বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক নাসির উদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া আবদুল জলিলের ছেলে শাহেদ হোসেন ওরফে সাজুকে গ্রেফতার দেখিয়েছে। ওই চোলাইমদ উদ্ধারে সদর উপজেলার শেখহাটি নাথপাড়া বর্তমানে জেলখানা মোড় কাঠেরপুল কাজলের বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত দিনেশ সাহার ছেলে রফিকুল ইসলাম ওরফে কৃষ্ণকে পলাতক দেখিয়েছে।
এছাড়া,যশোর শহরের হযরত গরীবশাহ সড়ক বকুলতলা বর্তমানে ঘোপ নওয়াপাড়া রোড জোড়াবাড়ির সামনে ফিরোজের বাড়ীর ভাড়াটিয়া মৃত শরিফ উদ্দিন মুন্নার স্ত্রী হিরা বেগম তার স্বামী শরিফ উদ্দিন মুন্ন্া গত ২২ এপ্রিল সন্ধ্যায় মাহমুদুল হাসানের কাছ থেকে মদ কিনে পান করে অসুস্থ হয়ে ২৩ এপ্রিল ভোর রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। তার স্বামী মারা যাওয়াকে মাহমুদুল হাসানের অবহেলা জনিত কারণ হিসেবে মাহমুদুল হাসানসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এদিকে ঝুমঝুমপুর বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের সাথী বেগম তার স্বামী ফজলুর রহমান চুক্কি গত ২১ এপ্রিল দুপুরে মাহমুদুল হাসানের মদের দোকান হতে বাংলামদ সেবন করে মারা যাওয়ার ঘটনায় মাহমুদুল হাসানসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে শনিবার রাতে কোতয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাদ্বয় মাহমুদুল হাসান ও শাহেদ হোসেন সাজুকে আদালতে রোববার সকালে সোপর্দ করেছে।